বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করার দাবি স্পেন আওয়ামী লীগের

কবির আল মাহমুদ, মাদ্রিদ (স্পেন) থেকে | বুধবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৭:৪৭ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের নামে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের হুমকি এবং রাজশাহীতে ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে স্পেন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৩০ নভেম্ভর) দেশটির রাজধানী মাদ্রিদের লাভাপিয়েসস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা ধোলাইখালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। ‘৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা স্বাধীনতা বিরোধীদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ কি না খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
স্পেন আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. দুলাল সাফার সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্পেন আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন।
স্পেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম দবির তালুকদার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক খানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুল আজীজ মবু।
ধোলাইখালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য দেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের ঢালী, ফয়জুর রহমান বড় ভাই, বাবু শ্যামল তালুকদার, সৈয়দ মনির হোসেন, রুবেল মোহাম্মদ, নজরুল ইসলাম, স্পেন যুবলীগের আহ্বায়ক ওহিদুজ্জামান, আব্দুল আজীজ সামসুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. জাকির হোসেন বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা এবং ভাস্কর্য বিরোধীদের স্থান হবে না।” তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে তিনি দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মো. দুলাল সাফা বলেন, “বঙ্গবন্ধু কোনো দলের না, তিনি মানেই পুরো বাংলাদেশ। তাকে নিয়ে কোনো কথা বরদাশত করা হবে না।”
তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধড্রামের ভিতর ৩ লাখ ইয়াবা
পরবর্তী নিবন্ধচসিক নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে