ইমামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে বান্দরবানে পিতার মামলা

জঙ্গিবাদে পুত্রকে প্ররোচিত করা

বান্দরবান প্রতিনিধি | বুধবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

পুত্রকে জঙ্গিবাদে প্ররোচিত করায় মসজিদের ইমামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে বান্দরবানে মামলা দায়ের করেছেন পিতা। গতকাল দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ জঙ্গি আল আমিনের পিতা নুরুল ইসলাম।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানের আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন কুমিল্লা জেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান (৩২), শামীন মাহফুজ (৪৭), নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৪), সিলেটের হাফিজ মাওলানা হোসাইনের ছেলে আব্দুল্লাহ মায়মুন (৩৪), সিলেটের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে মাসকুর রহমান (৪৪), সুনামগঞ্জের সৈয়দ আবুল কালামের ছেলে সৈয়দ মারুফ আহমেদ মানিক (৩১), আব্দুল কাদের, কুমিল্লার মমতাজ আহম্মেদের ছেলে শাহ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, বান্দরবানের রুমা উপজেলার জাওতন লনচেওর ছেলে নাথানা লনচেও (৫০), লাল মোহন বিয়াল প্রকাশ কর্নেল সলোমান (৫০) ও লিয়ান (৪৩)

আইনজীবী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ আগস্ট তাবলিগের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন নুরুল ইসলামের পুত্র আল আমিন। এরপর থেকেই তার পুত্রের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারেন, স্থানীয় কুবা মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহর প্ররোচনায় বিভিন্ন মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার গহীন অরণ্যে আশ্রয় নেয়া যুবকদের মধ্যে ছিল সে। প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় অভ্যন্তরীণ বিরোধে রুমার গহীন জঙ্গলে মৃত্যুবরণ করে তার পুত্র। পরে অন্য জঙ্গিরা তাকে পাহাড়ের গহীনে কবর দেয়। খবরটি পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কবরের খোঁজ পাওয়া গেলেও ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়নি। তাই যারা তার ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে এ পথে নিয়ে এসে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে তাদের সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে মামলা দায়ের করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার রিনিতা চাকমা বলেন, পুত্রকে জঙ্গিবাদে প্ররোচিত করায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন পিতা নুরুল ইসলাম। মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।