‘টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটার কী হবে?’

| মঙ্গলবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ই-কমার্স কিংবা মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ঠেকাতে সরকার ঠিকমতো কাজ করে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে আদালত প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আত্মসাৎ, পাচার করা অর্থ উদ্ধারে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মধ্যে আরেকটি রিট আবেদনের শুনানিতে এই প্রসঙ্গে কথা বলে আদালত। খবর বিডিনিউজের।
সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি গতকাল সোমবার চলছিল বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের ভার্চুয়াল বেঞ্চে। শুনানিতে পি কে হালদার, পিপলস লিজিং, হলমার্ক, ইভ্যালির প্রসঙ্গ উঠলে আদালত উষ্মা প্রকশ করে বলে, আমার টাকাটা নিয়ে গেল, আর আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরব? এই তো তারা (যারা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, আত্মসাৎ করছে) থানায় যাবে, জেলে গিয়ে রাত্রে ঘুমাবে। কিন্তু আমার টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটার কী হবে?
গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় সমপ্রতি ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মালিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের অর্থ দিয়ে পণ্য না পাওয়া গ্রাহকরা রয়েছেন অনিশ্চয়তায়। এর মধ্যেই সারা দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। গতকাল তার শুনানি হয়। এতে রিট আবেদনের পক্ষে সুমন নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
গত সোমবার প্রাথমিক শুনানিতে আদালত ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখে রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছিল, দেশে কারা চড়া সুদের ব্যবসা করছে, কীভাবে ব্যবসা করছে? সে অনুযায়ী আইনজীবী সুমন সম্পূরক আবেদনের মাধ্যমে গতকাল এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
বিচারক বলেন, সরকারের চাওয়া কী? এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, তাদের আইনের শাসন সমস্ত কিছু তারা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আমরা সরকারের কাঠামোগুলো ঠিকমত কাজ করছে কিনা, কেন করছে না সেটি দেখার জন্যই এখানে বসেছি। আমরা এই মামলাটি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য রখলাম, বিষয়টা জটিল। দেখে আদেশ দেব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্ষতি সবচেয়ে কম করেও ভুগছি সবচেয়ে বেশি
পরবর্তী নিবন্ধআইনজীবীদের সেই ৫ ভবনের নেই পরিবেশ ছাড়পত্র