আইনজীবীদের সেই ৫ ভবনের নেই পরিবেশ ছাড়পত্র

পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন

| মঙ্গলবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের আদালত ভবন যেখানে, সেই পরীর পাহাড়ে নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে চলমান বিরোধের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদন বলছে, সেখানে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আগের পাঁচটি ভবন ছাড়পত্র ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে। পরীর পাহাড়, আদালত ভবন ও সংলগ্ন এলাকার টিলা শ্রেণির ভূমির বিষয়ে সমপ্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে মতামত চাওয়া হলে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে।
পরিদর্শন শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সমপ্রতি প্রতিবেদন পাঠানোর কথা জানিয়েছেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী। প্রতিবেদনে আইনজীবীদের আগের ভবনগুলোর ছাড়পত্র না থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরীর পাহাড়ে অবৈধ দখলে থাকা এবং ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক স্থাপনা অপসারনের সুপারিশও করা হয়েছে প্রতিবেদনে। খবর বিডিনিউজের।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর চটগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ পাহাড় পরিদর্শন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল। পরিদর্শনের পর দলটি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচ এম জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবেদন তৈরি করেন। এতে বলা হয়- ‘টিলা শ্রেণির ভূমিতে নির্মাণ কাজ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুসারে ছাড়পত্র গ্রহণ অপরিহার্য হলেও তা এক্ষেত্রে গ্রহণ করা হয়নি।’ জানতে চাইলে নূরুল্লাহ নূরী বিডিনিউজকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ছয়টি মতামত দিয়েছি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। সেটিও আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর জানাবে। এরআগে প্রতিবেদনের বিষয়ে ডিসক্লোজ করতে পারব না।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা যায় এতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিনের বরাতে বলা হয়েছে, ‘পরিবেশ ছাড়পত্রের বিষয়টি (তার ও আগের সমিতির নেতাদের) জানা ছিল না বিধায় ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়নি।’ জানতে চাইলে জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘যখন ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়- তখন ছাড়পত্র নেওয়ার বিষয় ছিল না। তাই নেওয়া হয়নি।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বিডিনিউজকে বলেন, ‘শুধু পরিবেশ ছাড়পত্র নয়, তাদের অনেক কিছুই নেই। ভূমি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এরপর সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয় সেভাবেই হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটার কী হবে?’
পরবর্তী নিবন্ধভোটে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ২