নতুন শিক্ষাক্রমে একজন শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হয়েছে, যেখানে গ্রেড পয়েন্টের বদলে পারদর্শিতা অনুযায়ী সাতটি স্কেল বা সূচকে মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হবে। নতুন কাঠামো অনুযায়ী, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে লিখিত অংশের ‘ওয়েটেজ’ হবে ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ‘ওয়েটেজ’ হবে ৩৫ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নের ফলাফল আলাদাভাবে ফলাফল পত্রে (রিপোর্ট কার্ড) লেখা থাকবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান নতুন মূল্যায়ন কাঠামোর বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, একটি বিষয়ের মূল্যায়নের সময় থাকবে সর্বোচ্চ ৫ ঘণ্টা। আমরা এটিকে একটি স্কুল দিবস বলছি, কেননা মানুষ শুনলে এটাকে অনেক সময় মনে করছে। কিন্তু প্রতিদিন বাচ্চারা ৬ ঘণ্টা স্কুলে থাকে। তিনি জানান, যে সাতটি স্কেলে ফলাফল মূল্যায়ন করা হবে, সেগুলোর নাম হবে অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া তৈরি করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। লিখিত পরীক্ষা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও অভিভাবকদের চাপের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মূল্যায়ন পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রমের জন্য একটি সমন্বয় কমিটি (এনসিসি) গঠন করে দেয়। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এনসিসিসি’র সভায় এনসিটিবি’র মূল্যায়ন কৌশলের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মশিউজ্জামান জানান, তাদের মূল্যায়ন কৌশলের খসড়ায় কিছু পরিবর্তন এনে সেটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ‘প্রারম্ভিক’ সবচেয়ে নিচের স্তরের নাম। তার আগের স্তর হচ্ছে বিকাশমান। একজন শিক্ষার্থী যখন ‘বিকাশমান’ পাবে, তখন তার ২ নম্বর ঘর ভরাট করা থাকবে। কেউ ‘অনুসন্ধানী’ পর্যন্ত গেলে ৩ নম্বর ঘর, এভাবে যে সবচেয়ে ভালো করবে সে পাবে ‘অনন্য’।