কাপ্তাই লেকে পানির স্তর দিন দিন কমছে। পানি কমে যাওয়ায় লেক তীরবর্তী উপজেলা সমূহে নৌ চলাচলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে বেশিরভাগ উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলো নৌপথ। উপজেলাগুলো হলো বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচর। এছাড়াও রাঙামাটি সদর উপজেলা এবং কাপ্তাই উপজেলার বিশাল অংশ লেক পরিবেষ্টিত। এসব এলাকায় যাতায়াতের জন্যও নৌ চলাচলের বিকল্প নেই। চলমান টানা খরায় কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বরং কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে প্রতিনিয়ত পানির উচ্চতা হ্রাস পাচ্ছে। কাপ্তাই লেকে পানি কমে যাওয়ায় পানি বেষ্টিত উপজেলাগুলোয় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। কাপ্তাই উপজেলার ভাইজ্যাতলীতে অবস্থিত হরিণছড়া মুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আক্তার বলেন, কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে ইঞ্জিন বোটে চড়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমাদের একটি ইঞ্জিন বোট উপহার প্রদান করা হয়। পূর্বে সহজে স্কুলে যাতায়াত করা সম্ভব হলেও বর্তমানে লেকে পানি কমে যাওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্যালয়ের কর্মচারী মো. আবদুল হান্নান বলেন, লেকে পানি কম থাকায় ইঞ্জিন বোট ঠিকমত চলাচল করতে পারছে না। অনেকদূর ঘুরা পথে সীমাহীন কষ্ট করে কোন রকমে এখন পর্যন্ত যাতায়াত করা যাচ্ছে। তবে আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে ভারি বৃষ্টি না হলে লেকের পানি আরো কমে যাবে। তখন নৌ পথে যোগাযোগ আরো কঠিন হয়ে পড়বে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাপ্তাই জেটিঘাট বোট চালক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস বলেন, লেকে পানি কম থাকায় ভালোভাবে বোট চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে পণ্য পরিবহণ ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। পরিবহণ ব্যয় বাড়লে জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি হবার আশঙ্কা রয়েছে। কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল লতিফ লেকে পানি কমে যাবার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মে মাস প্রায় শেষ। কিন্তু এখনও পুরোদমে বৃষ্টির দেখা নাই। বৃষ্টি না হলে লেকে পানি বৃদ্ধি হবে না। ভারি বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।