ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর কথা বলে পতিতাবৃত্তি

আটক ২

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ৭ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৪৮ অপরাহ্ণ

ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর কথা বলে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে আটকে রেখে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-৭। আটক যুবকের নাম মো. ফরিদ (২৮) বলে জানা গেছে।

এ সময় অপহৃত টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রবিবার(৭ আগস্ট) দুপুরে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মো. নুরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. ফরিদ লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার উত্তর চর মার্টিন এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।

র‌্যাব জানিয়েছে, অপহৃত টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটির বয়স ১৩ বছর। প্রতিবেশী সাদিয়া আক্তার রুনার সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। গত ৩১ জুলাই রুনা ভিকটিমকে ফোন করে জানায় চট্টগ্রামে ভালো প্রতিষ্ঠান আছে, আরও ২ জন মেয়ে পড়াশোনা করে তুমি আসলে ভালো পড়াশোনা করতে পারবে। পরদিন গত ১ আগস্ট সকালে ভিকটিম কাউকে কিছু না বলে রুনার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘাটাইল হতে চট্টগ্রামের হালিশহর চলে আসে।

রুনার কথামতো মো. ফরিদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নগরীর হালিশহর থানাধীন একটি টিনশেড ভাড়াঘরে আসে। ভিকটিম ঘরে অন্য কোনো মেয়ে মানুষ দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞাসা করলে ফরিদ বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা ও এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে। পরবর্তীতে রুনা ভিকটিমকে জানায় মো. ফরিদ তার স্বামী। ভিকটিম বাড়ি ফিরে যেতে চাইলে রুনা নিষেধ করে এবং তার টাকা-পয়সা ও অলংকারাদি নিয়ে নেয়।

এছাড়া গত ৩ আগস্ট রাত ১টায় আসামি ফরিদ ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভিকটিম বটি দিয়ে ধাওয়া করলে ফরিদ চলে যায়। ভিকটিমের বাবা ভিকটিমকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ভিকটিম নিখোঁজের বিষয়ে একটি র‌্যাব-৭ এ অভিযোগ দেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মো. নুরুল আবছার জানান, অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে র‌্যাব-৭। এরই ধারাবাহিকতায় একটি আভিযানিক দল গতকাল শনিবার(৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর হালিশহর থানাধীন আগ্রাবাদ ছোটপুল এলাকার একটি টিনশেড ভাড়াঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামি সাদিয়া আক্তার রুনা ও মো. ফরিদকে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, মো. ফরিদের সঙ্গে আসামি রুনার অবৈধ সম্পর্ক ছিল এবং তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে থাকত। তারা মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্নভাবে সহজ, সরল, অভাবী নারী ও শিশুদের কাজ দেওয়ার নাম করে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে, অর্থ উর্পাজনের জন্য পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করত।

পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর আবেদন
পরবর্তী নিবন্ধসিআইইউতে অনুষ্ঠিত হল দিনব্যাপী ফুটসাল টুর্নামেন্ট