সরে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ৭ জুলাই, ২০২২ at ৩:২৭ অপরাহ্ণ

দলের ভেতরে বিদ্রোহ, একের পর এক মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতার পদত্যাগের মধ্যে অনিবার্য পরিণতি মেনে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সরে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার(৭ জুলাই) ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেবেন জনসন যার মধ্য দিয়ে তার প্রধানমন্ত্রিত্বেরও অবসান ঘটবে।

তবে কনজারভেটিভরা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে নেবেন।

জনসন তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা এরই মধ্যে টোরি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানকে কাছে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আগামী অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনে দায়িত্ব নেওয়া নতুন নেতাই প্রধানমন্ত্রী পদে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দলে বিদ্রোহীদের পাশাপাশি নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রীরাও জনসনকে ছেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলে তার সরকার অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে পদত্যাগ ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না তার জন্য।

জনসন দলে কতটা বিচ্ছিন্ন ও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছিলেন, তা কেবল বৃহস্পতিবার সকালের দুই ঘণ্টায় ৮ মন্ত্রীর পদত্যাগেই বোঝা যায়। অথচ আগের দিনও পার্লামেন্টে তিনি বলেছিলেন, পদত্যাগ তিনি করবেন না।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই জনসন তার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

দলে কয়েকদিনের টানাপড়েনের পর ৫৮ বছর বয়সী জনসনের পাশে এখন হাতেগোণা মাত্র কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে অথচ তিন বছর আগেই তিনি বিপুল ব্যবধানে টোরিদের ক্ষমতায় এনেছিলেন।

তিনি যুক্তরাজ্যের এমন অনেক এলাকাকে কনজারভেটিভদের পক্ষে নিয়ে এসেছিলেন যেসব এলাকা ঐতিহাসিকভাবে কখনই তাদের পক্ষে ছিল না।

তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, লকডাউনের মধ্যে বিধিনিষেধ অমান্য করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারিসহ নানান ইস্যুতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জনসন সরকারের জনপ্রিয়তা যে হু হু করে নামছিল বেশ কয়েকটি উপ-নির্বাচনে হার তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে।

দলে এক দফা বিদ্রোহ সামাল দিয়ে আস্থা ভোটে টিকে নেতৃত্বের পরীক্ষায়ে উৎরে গিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু মঙ্গলবার ঋষি সুনাক ও সাজিদ জাভিদের পদত্যাগ যে ঝড়ের সূচনা করে তাতে তার টিকে থাকা সত্যিই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল।

এমনকি গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাদিম জাহাউই-ও একদিনের মাথায় জনসনের কাছ থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেন।

জনসন দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলে কনজারভেটিভ পার্টিতে নেতৃত্বের লড়াই শুরু হবে। এরপর দলটির এক লাখ সদস্যের সিদ্ধান্তে নতুন নেতা ঠিক হবে।

তখন জনসন তার পদত্যাগপত্র রাণীকে দিলে এলিজাবেথ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকে ডেকে পাঠাবেন যিনি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হয়ে নতুন সরকার গড়বেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৮নং ওয়ার্ডে কোরবানি পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধদলীয় নেতৃত্ব ছাড়লেন বরিস