বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত প্রথম সহ–সভাপতি সেলিম রহমানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দ গতকাল চট্টগ্রাম–কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ শফি উদ্দিনের সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সহ–সভাপতি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী, পরিচালক এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাকিফ আহমেদ সালাম, মোঃ সাইফ উল্লাহ মনসুর, এনামুল আজিজ চৌধুরী, এস.এম. আবু তৈয়ব, রাকিবুল আলম চৌধুরী।
প্রথম সহ–সভাপতি জনাব সেলিম রহমান বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ কঠিন এবং প্রতিযোগিতামূলক। এই অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প আজ ইতিহাসের চরম সংকটে। গত ৫ বৎসরে আমাদের উৎপাদন ব্যয় ৬০% বৃদ্ধি পেলেও বিদেশি ক্রেতাগণ পোশাকের দাম তুলনামূলকভাবে তেমন বৃদ্ধি করেনি। এ অবস্থায় দেশের সংশ্লিষ্ট সকল মহল সহ সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে উঠছে।
তিনি আরো বলেন, কঠিন এই সময়ে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সরকারী বিভিন্ন আইনগত সামষ্টিক বিষয় সহজীকরণ একান্ত আবশ্যক। সভায় বিশেষ করে কাস্টমস্ বন্ড সম্পর্কিত এইচএস কোড সংযোজন, বৎসরিক অডিট এবং এফওসি ও কাস্টমস্ বন্ড সংক্রান্ত বিষয়াদি সহজীকরণের মাধ্যমে অতি দ্রুততার সাথে সেবা প্রদানের জন্য বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারকে আহ্বান জানান।
কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর কমিশনার মোহাম্মদ শফি উদ্দিন বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত পর্ষদকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে পোশাক শিল্প সহ অন্যান্য শিল্প স্থাপন ও কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বন্ড কমিশনারেট সচেষ্ট রয়েছে। পোশাক শিল্পের বন্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বিদ্যমান জটিলতা নিরসন কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদন করা হবে মর্মে তিনি নেতৃবৃন্দকে আশ্বাস প্রদান করেন। বন্ড ও বিজিএমইএ’র মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো উদ্ভূত সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পাদন ও কার্যক্রম সহজীকরণ করে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে মর্মেও তিনি বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। এ’সময় কাস্টমস্্ বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রামের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।