ইরানকে পারমাণবিক ওয়ারহেড দিতে প্রস্তুত অনেক দেশ : মেদভেদেভ

| সোমবার , ২৩ জুন, ২০২৫ at ১২:০৬ অপরাহ্ণ

পুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, অনেক দেশই তাদের নিজেদের পারমাণবিক ওয়ারহেড ইরানকে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। খবর বিডিনিউজের।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর রোববার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমনটা বলেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। পোস্টে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, এটি উল্লেখ করার মতো কোনো সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

পারমাণবিক জ্বালানি চক্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সম্ভবত অক্ষতই আছে, নয়তো সামান্য ক্ষতি হয়েছে। পারমাণবিক উপাদানের সমৃদ্ধকরণ, এখন দৃঢ়ভাবেই বলতে পারি যে ভবিষ্যৎ পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন, অব্যাহত থাকবে, বলেছেন তিনি। মেদভেদেভ আরও বলেছেন, অনেক দেশ তাদের পারমাণবিক ওয়ারহেড ইরানকে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

তবে কারা কারা এ তালিকায় আছে তাদের নাম বলেননি তিনি। মেদভেদেভ আরও বলেন, ইসরায়েলি জনগণ এখন ক্রমাগত হুমকির মধ্যে বসবাস করছে, তাদের অনেক এলাকা বিস্ফোরণে কাঁপছে। অন্যদিকে ইরান রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে।

ইরানের শাসনব্যবস্থা টিকে গেছে এবং খুব সম্ভবত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জনগণ দেশের ধর্মীয় নেতৃত্বের পাশে একত্রিত হচ্ছে, আগে তাদের সঙ্গে যাদের মতভিন্নতা বা বিরোধ ছিল তারাও এখনকার নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে, বলেছেন তিনি।

এর আগে টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে মেদভেদেভ ইরানে হামলা চালিয়ে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন একটি যুদ্ধের সূচনা করেছেন বলে মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প, যিনি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে এসেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন একটি যুদ্ধের সূচনা করলেন। এই ধরনের সফলতার মাধ্যমে, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে পারবেন না, বলেছেন তিনি। ইরানে হামলা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বা ক্রেমলিনের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বা বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি। এদিকে তুরস্তের ইস্তাম্বুলে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে যাওয়া ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে তিনি মস্কো যাচ্ছেন। সোমবারই তার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। রুশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) নেতা লিওনিদ স্লাৎস্কি বলেছেন, ইরানে এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সামরিক কারণ ছিল না এবং আন্তর্জাতিক আইনে এটি কোনোভাবেই বৈধতা পেতে পারে না। উত্তেজনা বৃদ্ধির এ পরিণতি শুধুমাত্র অঞ্চলটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটন তেহরানের প্রতিক্রিয়া অবশ্যম্ভাবী বলে বুঝতে পারছে। এ সব কিছু সংঘাতের দুষ্টচক্রকে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়েছে, বলেছেন রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট দুমার আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান স্লাৎস্কি

পূর্ববর্তী নিবন্ধইরানে মার্কিন হামলায় আরব দেশগুলোর নিন্দার ঝড়
পরবর্তী নিবন্ধ২ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বাজেট দিলেন ডা. শাহাদাত