‘সৃজনশীল প্রকাশনাশিল্প: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি হলে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের আয়োজনে আয়োজিত এ কর্মশালায় খ্যাতনামা প্রকাশনা বিশেষজ্ঞ, লেখক ও তরুণ প্রকাশকরা অংশগ্রহণ করেন।
পরিষদের সভাপতি মো. সাহাব উদ্দীন হাসান বাবুর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম। তিনি বলেন, সৃজনশীল প্রকাশনা কেবল একটি পেশা নয়, এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতা। নতুন প্রজন্মকে চিন্তাশীল ও জ্ঞাননির্ভর করে গড়ে তুলতে এই শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কর্মশালার মূল বক্তা ছিলেন গ্রন্থবিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যয়ন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক খান মাহবুব। তিনি বলেন, প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রকাশনাশিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। সৃজনশীলতা, গুণগত মান এবং পাঠকের চাহিদার সমন্বয়ই এ শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।‘
প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি মোট ১০টি সেশন আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরে বিভক্ত ছিল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ সেশন পর্যন্ত পাণ্ডুলিপি নির্বাচন, সম্পাদনা, গ্রন্থ–ডিজাইন, কপিরাইট এবং বই বিপণন ও বিক্রয়ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। পঞ্চম সেশনে চট্টগ্রামের প্রকাশকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ বিনিময় করেন।এরপরের সেশনে লেখক–পাঠক চাহিদা, লেখার বিষয়বস্তু নির্বাচন, সম্পাদনা এবং রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।বিভিন্ন সেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক, কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, গবেষক জামাল উদ্দিন, রেহেনা চৌধুরী। আলোচক ছিলেন মিজানুর রহমান শামীম, সোহেল রানা, ড. শীব প্রসাদ শূর, ড. সৌরভ শাখাওয়াত, মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ, মনিরুল মনির, অধ্যাপক গোফরান উদ্দিন টিটু, মোখতার হোসাইন সিকদার প্রমুখ।
বিকেলে কর্মশালায় আরো যুক্ত হন চট্টগ্রামের ৩০ জনের বেশি লেখক। তারা লেখক–প্রকাশক সম্পর্ক, পান্ডুলিপি স্বত্বাধিকার ও লেখালেখির দিকনির্দেশনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কবি অভীক ওসমান, কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, লেখক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, অধ্যাপক হোসাইন কবির, ড. শামসুদ্দিন শিশির প্রমুখ। শেষে অংশগ্রহণকারী ১০০জন প্রকাশক– লেখককের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
