বাবা: নিঃশব্দ ভালোবাসার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি

যীশু সেন | রবিবার , ১৫ জুন, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

জীবনের প্রতিটি বাঁকে, প্রতিটি সফলতার পেছনে, যে মানুষটি নিঃশব্দে থেকে যান, তিনি হলেন আমাদের পিতা। বাবা, জনক, জন্মদাতা এই শব্দগুলোর মধ্যে লুকিয়ে আছে একজন রূঢ় কিন্তু স্নেহময় অভিভাবকের অসীম ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও ত্যাগের কাহিনি। বাবা শুধু জন্মদাতা নন, তিনি পরিবারের কর্তা, সংসারনেতা, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক। আমাদের জীবনের প্রথম নায়ক, প্রথম রোল মডেল এবং সাহসদাতা হিসেবে বাবা একটি অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব। শিশু থেকে কিশোর, কিশোর থেকে তরুণ এই প্রতিটি ধাপে বাবা থাকেন এক ছায়াস্বরূপ অভিভাবক হয়ে। কখনো শাসক হয়ে শাসন করেন, আবার কখনো বন্ধু হয়ে সাহস দেন, ভালোবাসা দেন। বাবা মানেই নির্ভরতার এক অদৃশ্য দেয়াল, যেখানে আস্থা রাখা যায় চোখ বন্ধ করে। তাঁর ভূমিকাগুলো এতটাই বিস্তৃত যে তা একটি শব্দে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। তিনি উপার্জনকারী, সংসারপালক, গুরু, শিক্ষক এবং সাহসের প্রতীক। বাবারা অনেক সময় কঠোর, রূঢ়, দায়িত্বে অবিচল থাকেন। কিন্তু সেই কঠোরতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে সীমাহীন ভালোবাসা। বাবারা হচ্ছেন সেই মহানুভব মানুষ, যাঁরা সংসারের রথ টেনে নিয়ে যান চুপচাপ। নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের স্বপ্ন পূরণে ব্রতী থাকেন। তাঁরাই সেই ত্যাগ স্বীকারকারী, যাঁরা পরিবারের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেন। তিনি পুরুষোত্তম মানবিক গুণাবলিতে পূর্ণ এক মহান ব্যক্তি। এই বিশেষ দিনে আমাদের কর্তব্য, বাবাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ ও সম্মান জানানো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবা, অনেক কিছু বলিনি কখনো-
পরবর্তী নিবন্ধবাবা আমার বাবা