নির্বাচন আগে না সংস্কার এটা বাংলাদেশের জনগণ, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে। এতে জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই। গতকাল বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপেন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, ডিক্যাব টকে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। খবর বাসসের।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে লুইস বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে কখন নির্বাচন হবে। তিনি আরো বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন মানে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নয়। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন মানে হচ্ছে, সমাজের প্রত্যেক অংশই যেন ভোট দিতে পারে– নারী, ১৮ বছর বয়সী, নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্তিমূলক দিয়ে আমরা এটাই বোঝাই। তবে প্রত্যেকের নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রবেশাধিকার ও সক্ষমতা যেন থাকে। জাতিসংঘের সংজ্ঞা মতে সমাজে সব শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণকেই অংশগ্রহণমূলক বলা হয়।
এই সময় ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক অফিস স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত জানিয়ে তিনি বলেছেন, শিগগিরই ছোট আকারে অফিস চালু হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গোয়েন লুইস বলেছেন, তাদের কাজ খুবই জটিল। জাতিসংঘ মনে করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতে এটি সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।