বর্তমান সময়ে সমাজের নীতি–নৈতিকতা ধরা–ছোঁয়ার বাইরে। পারিবারিক শিক্ষার অভাবে দূষিত হচ্ছে সমাজ জীবন। শুধু বইপত্র পড়ে কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেই সমাজের স্বাস্থ্য উন্নত করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন পরিবারের অনুকরণ ও নৈতিক সুশাসন। কারণ, একটি শিশুর বিকাশ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারকে অনুকরণ করে আসার যে একটা নিয়ম সেটা ব্যক্তিকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করে। পরিবর্তন এসেছে মা–বাবার চিন্তাভাবনার। ছেলে–মেয়েদের আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তারা আকাশের চাঁদ এনে দিতেও বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে, ছেলে–মেয়েরা পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়ে যায় কম বয়সেই। যা খুবই ক্ষতিকর। কম বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহারও এর জন্য দায়ী। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ার আগেই নিষিদ্ধ বিষয় সম্বন্ধে অকালপক্ষ জ্ঞানার্জন সেরে ফেলে, এতে তার মানসিকতার ওপর প্রভাব পড়ে। পারিবারিক শিক্ষার অভাবে স্কুলের নাম করে ছেলে–মেয়েরা পার্কে, রাস্তায়, ক্যাফেটোরিয়ায়, রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেয়। তাদের বেপরোয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন প্রক্রিয়া সমাজকে গ্রিনহাউজ গ্যাসের মতো গ্রাস করে নিচ্ছে। আর এই ক্ষতির জন্য দায়ী মূলত তার পরিবার।
তাই, সময় থাকতে মা–বাবাদের প্রতি অনুরোধ সচেতন হোন, আপনার সন্তানদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে না দিয়ে আগামীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কিংবা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হলে উন্নত জাতি গঠনে মা–বাবার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এম.আবু ছৈয়দ চৌধুরী
নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম।