জোরারগঞ্জে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এক নারীকে বিয়ে এবং প্রতারণার দায়ে চার ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, নুরুল কবির, মো. শহীদ, মো. শরীফ ও মো. বাপ্পী। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় আসামি শহীদ ও শরীফ কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বাকী দুই আসামি হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেছেন। আদালতসূত্র জানায়, প্রতারিত হয়েছেন অভিযোগ করে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী রহিমা আক্তার।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ৬ লাখ টাকা কাবিনে ২০১৪ সকালের ২৩ জানুয়ারি তাকে বিয়ে করেন নুরুল কবির এবং রহিমার বাড়িতেই অবস্থান নেন। এরপর এক সপ্তাহ পর তাকে শহরে নিয়ে যেতে চাপ প্রয়োগ করলে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, আসামি নুরুল কবির ভূয়া। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে রহিমাকে বিয়ে করেছেন। একপর্যায়ে নুরুল কবির পালাতে চাইলে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয় এবং পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। আদালতসূত্র জানায়, পুলিশ রহিমা আক্তারের মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করলে বিচারক পরের বছরের ১৫ মার্চ নুরুল কবিরসহ চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।