ফেনীর সোনাগাজীতে একটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যালয়ের নথি নষ্ট করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির পিয়ন অগ্নিসংযোগ করেছেন বলে দাবি পুলিশ সুপারের। চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কক্ষের ওই আগুনে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে ফেনী–৩ আসনের এই কেন্দ্রে যথারীতি ভোট গ্রহণ হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান বলেন, বিদ্যালয়টির স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দ্বন্দ্বের জেরে অফিস কক্ষে পিয়ন আবু বক্কর সিদ্দিক আগুন দেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়ের উল্যাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আবু বক্কর সিদ্দিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে এসপি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি জাকির হাসান বলেন, স্কুলের অডিট সংক্রান্ত বিষয় ও সাময়িক বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে স্কুলে যোগদান করানো নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সেই দ্বন্দ্বের জেরে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট করার জন্য পিয়ন আবু বক্কর সিদ্দিক আগুন ধরিয়ে দেয়।
আবু বক্করের স্বীকারোক্তির বরাতে এসপি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকালে এক লিটার পেট্রোল এনে পিয়ন আবু বক্কর সিদ্দিক শিক্ষক মিলনায়তনে রাখে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্কুলে গিয়ে আগে এনে রাখা পেট্রোল বই ও আলমারিতে ছিঁটিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাইরে থেকে জানালার কাচের ফাঁক দিয়ে দিয়াশলাই জ্বেলে কক্ষে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর দ্রুত বাড়ি চলে যায়।
স্কুলের অফিস সহকারী আব্দুর রহমান আজাদ শুক্রবার ভোরে প্রাতঃভ্রমণ করতে স্কুল আঙিনায় এলে ভবনে আগুন জ্বলতে দেখেন এবং পিয়ন আবু বক্কর সিদ্দিককে ফোন করে স্কুলে আগুন লাগার কথা জানান, বলেন পুলিশ এসপি।
ভোটকেন্দ্রে আগুনের খবর পেয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যাব, পিবিআই, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (দাগনভূঞা–সোনাগাজী সার্কেল) তাসলিম হোসাইন, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।