ভোটের ডামাডোল চলছে চারিদিকে। সব জায়গাতেই ভোটের আলোচনা, চলছে ভোট নিয়ে কথা। ভোটের এই ডামাডোলে পর্যটন শহর রাঙামাটি ও কাপ্তাইয়ে কোন পর্যটকের দেখা মিলছেনা। পর্যটকের আশায় পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও গতকাল শনিবার সারা দিন পর্যটকের আনাগোনা ছিলনা বললেই চলে। এদিকে জাতীয় ভোটকে কেন্দ্র করে কাপ্তাই রাঙামাটির বিভিন্ন হোটেল মোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। কাপ্তাইয়ের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্ট পড হাউজে ম্যানেজার মাসুদ তালুকদার জানান,নির্বাচন উপলক্ষে তাঁদের পড হাউজ ৬ ও ৭ জানুয়ারি বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলার জুম
রেস্তোরাঁ, লেকভিউ আইল্যান্ড, লেকশোর, লেক প্যারাডাইস, বনশ্রী, প্রশান্তিসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে সব বিনোদন কেন্দ্রের অবস্থাই একই রকম পরিলক্ষিত হয়েছে।
এদিকে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন যারা, শুধুমাত্র পর্যটকদের কাছে মালামাল বিক্রি করে লাভের টাকায় সংসার চালান। পর্যটক না থাকায় পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও কোন মালামাল বিক্রি হয়নি। একটি বিনোদন কেন্দ্রে রিতা তালুকদার নামের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আমরা নিজ হাতে তৈরি প্লাস্টিকের ব্যাগ বিক্রি করার জন্য প্রতিদিন পর্যটন এলাকায় নিয়ে আসি। ৩শ টাকা থেকে ৬শ টাকা পর্যন্ত একটি ব্যাগ বিক্রি করেন বলে তিনি জানান। কিন্তু গতকাল শনিবার সারা দিনে তাঁর একটি ব্যাগও বিক্রি হয়নি।
আরেকটি বিনোদন কেন্দ্রে দেখা গেছে আলো চাকমা নাকের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনারস নিয়ে বসে আছেন। পর্যটক না থাকায় তিনিও কোন আনারস বিক্রি করতে পারেননি। অথচ এই আনারস বিক্রির লাভের টাকায় তাদের সংসার চলে। পর্যটক না আসলে এবং বিক্রি না হলে তার সব আনারস নষ্ট হবে বলেও তিনি আশঙ্কা করছেন। এর ফলে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রের ম্যানেজার অলোক চাকমা বলেন, নির্বাচনের কারণে পর্যটন কেন্দ্রে কোন অতিথি নাই। এমনকি কোন বুকিংও নাই। পর্যটন কেন্দ্রর মূল আকর্ষণ ঝুলন্ত ব্রিজ। অন্যসময় এই ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক দর্শকের সমাগম থাকলেও গতকাল কোন পর্যটক ছিলনা। পর্যটন কেন্দ্রের বোট চালক ইকবাল জানান, পর্যটকরা ভ্রমণে এসে বোট ভাড়া করে কাপ্তাই লেকে নৌ ভ্রমণ করেন। বোট ভাড়া দিয়ে যে আয় হয় সেটি দিয়েই তাদের সংসার চলে। পর্যটক না থাকায় গতকাল শনিবার সারা দিনে তাদের একটি বোটও ভাড়া হয়নি।
এদিকে গতকাল শনিবার কাপ্তাই সড়কে সাধারন যানবাহনের সংখ্যাও অনেক কম ছিল। রাস্তায় কোন মোটর সাইকেল চলতে দেখা যায়নি। অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনের চলাচলও ছিল অনেক কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় জনসাধারণের চলাচলও ছিল সীমিত।