দেশের সবচাইতে ধনী ক্রীড়া সংস্থা চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় চতুর্থ বারের মত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ নিয়ে টানা তিনবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। এবারের নির্বাচনে আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন ছাড়াও তিনজন সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন নিয়েছিলেন। কিন্তু দিদারুল আলম চৌধুলী এবং রাশেদুল আলম তাদের মনোনয়ন জমা দেননি। এফএমসি স্পোর্টসের জাফির ইয়াসিন চৌধুরী মনোনয়ন জমা দিলেও গতকাল তিনি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বিনা বাধায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গেলেন। তবে অন্য পদ গুলোতে নির্বাচন হচ্ছেই। গতকাল ২১ প্রার্থী বিভিন্ন পদে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সহ সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ১১ জন। তাদের মধ্য থেকে একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি হলেন এস এম শহীদুল ইসলাম। তিনি নির্বাচন করবেন অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে। ফলে সহ সভাপতি পদে নির্বাচনের জণ্য রয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন তাহের উল আলম চৌধুরী স্বপন, এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, এডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বশর, মোঃ হাফিজুর রহমান, দিদারুল আলম চৌধুরী, শাহজাদা আলম, মকসুদুর রহমান বুলবুল এবং মফিজুর রহমান।
অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে তিন জন রয়ে গেছেন প্রার্থী হিসেবে। এই পদের জন্য প্রার্থী হলেন বর্তমান অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী এবং এস এম শহীদুল ইসলাম। এই পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম এবং ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। যুগ্ম সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ১০ জন। এদের মধ্য থেকে গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আ.ন.ম. ওয়াহিদ দুলাল, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মশিউর রহমান চৌধুরী, এস এম ইকবাল মোরশেদ, মোহাম্মদ ইউসুফ এবং হাসান মুরাদ বিপ্লব। এই পদে এখন প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন আমিনুল ইসলাম, অহীধ সিরাজ চৌধুরী স্বপন এবং সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি।
কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী রয়েছেন দুজন। তারা হলেন আ.ন.ম. ওয়াহিদ দুলাল এবং বর্তমান কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর। ওয়াহিদ দুলাল যুগ্ম সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিলেও তিনি সেটা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাহি সদস্যের ১৩ টি পদের জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছিল ৩৮টি। সেখান থেকে গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, এইচ এম সোহেল, সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি, সিরাজুল আলম, মোহাম্মদ শাহজাদা আলম, মোঃ মোমিনুল হক, হাসান মুরাদ, মোহাম্মদ ইউসুফ। বর্তমান নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ কোন পদেই নির্বাচন করছেননা।
এখন নির্বাহী সদস্যের ১৩ টি পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন ২৮ জন। তারা হলেন প্রবীন কুমার ঘোষ, সাইফুল আলম খান, সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর, এ এস এম ইকবাল মোরশেদ, আখতারুজ্জামান, আলমগীর পারভেজ, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, অনুপ বিশ্বাস, হারুন আল রশিদ, এ এস এম সাইফুদ্দিন চৌধুরী, সাহেলা আবেদীন রীমা, ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন, শওকত হোসাইন, রাশেদুর রহমান মিলন, নাসির মিয়া, রায়হান উদ্দিন রুবেল, জহির আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মোঃ মুজিবুর রহমান, এ কে এম আবদুল হান্নান আকবর, গোলাম মহিউদ্দিন হাসান, কল্লোল দাশ, দিদারুল আলম মাসুম, সুমন দে, এনামুল হক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, এম এ মুছা বাবলু। উপজেলার সংরক্ষিত দুটি সদস্য পদের জন্য নির্বাচন করবেন তিনজন। তারা হলেন প্রদীপ কুমার ভট্টচার্য্য, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং মোঃ জাহিদুল ইসলাম। তবে সংরক্ষিত দুটি মহিলা সদস্য পদের জন্য দুজনই প্রার্থী থাকায় সে পদে নির্বাচন হবেনা। এই পদের দুজন প্রার্থী হলেন রেজিয়া বেগম ছবি এবং রেখা আলম চৌধুরী। গতকাল প্রার্থীদের মাঝে ব্যালট নাম্বারও বিতরণ করা হয়।
আগামী ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বহু আকাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার এই নির্বাচন। যেখানে ২৫২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
