ইংল্যান্ডকে ৩৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনাল থেকে এক ধাপ দূরে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে তারা। গতকাল মার্নাস লাবুশেনের ফিফটিতে অস্ট্রেলিয়া করে ২৮৬ রান। ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২৫৩ রানে। ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে জনি বেয়ারস্টোর উইকেট হারায় ইংলিশরা। মিচেল স্টার্কের বলে ইংলিসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পঞ্চম ওভারে আবারো আঘাত হানেন স্টার্ক। এবার অভিজ্ঞ জো রুটকে নিজের শিকারে পরিণত করেন। ১৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। এরপর ডেভিড মালান ও বেন স্টোকস তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। ২৩ তম ওভারে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেই ঐ ওভারেই কামিন্সের শিকারে পরিণত হন মালান। জস বাটলারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র এক রান করে জাম্পার শিকারে পরিণত হন। এরপর মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে সাম্লনে এগিয়ে যেতে থাকেন বেন স্টোকস। ৩১তম ওভারে এবারেএ বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন স্টোকস। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি স্টোকস। জাম্পার বলে মারতে গিয়ে ৬৪ রানে আউট হন স্টোকস। ৪০তম ওভারে মঈন আলী সেই জাম্পাকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ৪৩ রানে ধরা পড়েন। মঈন আলীর আউটের পরেই ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের জয়ের আশা। ৪৪তম ওভারে উইলিকে ফেরান হাজেলউড। ক্রিস ওকস শেষ দিকে ৩৩ বলে ৩২ রান করলেও সেটি জয় এনে দিতে পারেনি।
এর আগে আহমেদাবাদে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ৩৮ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে দুই ওপেনার ট্রাভিস হেডকে (১১) আর ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৫)। এরপর হাল ধরেন স্টিভেন স্মিথ আর মার্নাস লাবুশেন। স্মিথ ফিফটির কাছে এসে ফেরেন ৪৪ করে। লাবুশেন করেন ৭১। ১১৭ রানে ৪ আর ১৭৮ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। ইংলিশ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। এরপর ক্যামেরুন গ্রিন ৪৭, মার্কাস স্টয়নিস ৩৫ আর শেষদিকে অ্যাডাম জাম্পা ১৯ বলে অপরাজিত ২৯ রানে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন। ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ২৮৬ রান। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস ৫৪ রানে নেন ৪টি উইকেট। ইংল্যান্ড টানা পঞ্চম হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই পড়ে আছে। প্রথম রাউন্ড থেকে তাদের বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিকভাবে। গতকালের ম্যাচ সেরা হন অস্ট্রেলিয়ার এডাম জাম্পা।