মধ্যরাতে কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে হলিউডি রেসের ঘটনায় সাত গাড়িচালকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে টানেল কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার কর্ণফুলী থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করা হয়।
বন্দর জোনের পুলিশ উপকমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘টানেল কর্তৃপক্ষ চারটি গাড়ি শনাক্ত করে মামলার আবেদন করেছে। আমরা সেটি মামলা হিসেবে নিয়েছি। চালকদের গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হয়। ওই দিন দিবাগত রাতে দামি স্পোর্টস কার নিয়ে রেসে মেতে ওঠে একদল উঠতি বয়সী ছেলে। অথচ টানেলে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এতে প্রায় ১০টি গাড়ি অংশ নেয়।
পরে ‘দ্য স্লো কিডস’ নামে একটি পেজে টানেলে রেসের ভিডিওটি আপলোড দেওয়া হয়। ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে হলিউড সিনেমা ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’র সঙ্গে তুলনা করা হয়। পরে তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।
এরপর স্পোর্টস কার চালানো সেই উঠতি বয়সের ছেলেদের শনাক্তে উদ্যোগ নেয় টানেল কর্তৃপক্ষ। টানেলের ভেতরে-বাইরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের সহায়তায় এসব গাড়ির নম্বর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। আজ (বুধবার) পর্যন্ত সাতটি গাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে। গাড়িগুলো হল চট্টমেট্রো- গ ১২-৯০৪৩,চট্টমেট্রো -ঘ- ১১-৫৭০২,ঢাকা মেট্রো -খ- ১১-৮৯৩৫,ঢাকা মেট্রো -খ-১২-১৮১৪,চট্টমেট্রো-গ-১৩-৩৫৭৩,চট্টমেট্রো-গ-১৪-২২৫৪,ঢাকা মেট্রো-ভ-১১-০২১৭ এর গাড়ির অজ্ঞাত চালকদের বিরুদ্ধে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫০) বাদী হয়ে মামলা করেন।
পরে ওইসব গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা করা হয়।
টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফা বলেন, ‘টানেলের ভেতরে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার। কিন্তু রেসে অংশ নেওয়া গাড়িগুলো এর চেয়ে বেশি গতিতে চলেছে। শুধু তা-ই নয়, গাড়িগুলো যেভাবে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিল, তাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’