ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে অগাস্টের প্রথম ১৭ দিনেই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৪৫ জনে। এত রোগী এ বছর আর কোনো মাসে দেখা যায়নি। এর আগে জুলাইয়ের ৩১ দিনে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে গত একদিনে আরও ৯ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ বছর এডিস মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫৩ জনে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ১৫৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; তাদের মধ্যে ৮০৪ জন ঢাকার, বাকি ৭৬১ জন বাইরের। সব মিলিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৮৭৭ জনে। খবর বিডিনিউজের।
এক বছরে এর চেয়ে বেশি রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল কেবল ২০১৯ সালে। আর এক বছরে এত মৃত্যু এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭ হাজার ৫৭৩ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা চলছিল। তাদের মধ্যে ঢাকার রোগী ৩৬২৩ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৩৯৫০ জন।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুনে ৫৯৫৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। চলতি অগাস্টের প্রথম ১৭ দিনে ডেঙ্গুতে ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের মাস জুলাইয়ে সর্বাধিক ২০৪ জনের মৃত্যু হয়। জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ২ জন, মে মাসে ২ জন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, মারা যান ২৮১ জন। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।