চট্টগ্রাম কাস্টমসে এয়ার কন্ডিশনার–ফেব্রিক্সসহ বিভিন্ন ধরনের ৭৬ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে আগামী ৯ মে মঙ্গলবার। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ১৬ এপ্রিল থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে আগামীকাল রোববার পর্যন্ত ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্র জানায়, ৭৬ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে– ব্যবহৃত এস্কেভেটর, ফিনিশিং এজেন্ট, আসবাবপত্র, ফেব্রিক্স, পলিপ্রোপাইলিন, নিটিং মেশিনারিজ, এয়ারস্টোন কম্প্রেসার, গ্যাস লাইটার, এয়ার কন্ডিশনার, কেরওয়ে সিড, মিনারেল ওয়াটার, এমোনিয়াম সালফেট, হেন্না মেহেদি, প্রিন্টেড পিপি শিট, রেফ্রিজেরেটর কন্ডেন্সার, ক্যাপিটাল মেশিনারি, হারবাল এন্টিভাইরাল, গ্রিজ, ল্যাবরেটরি ইকুইপমেন্ট, লুব্রিকেন্ট অয়েল, ট্রান্সফারমার অয়েল, রাসায়নিক পদার্থ, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, প্লাস্টিক পাইপ ফিটিং, স্টিল পাইপ, ফুটওয়্যার, সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপার, ব্যবহৃত ক্রেন, ছাপাখানার কালি, মেটাল স্ক্র্যাপ, মিল্ক পাউডার, পিনল, ডাইং মেশিন, পিভিসি ব্যানার শিট, লক পার্টস, বাইসাইকেল পার্টস, লাইমস্টোন, আতপ চাল, জিপসাম ফার্টিলাইজার, অ্যালমুনিয়াম ফয়েল স্ক্র্যাপ, মার্বেল চিপস ও ডুপ্লেক্স বোর্ড।
নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিডাররা অফিস চলাকালীন এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেএম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস, কাস্টমসের নিলাম শাখা অফিস এবং ঢাকার মতিঝিল অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। সংগৃহীত দরপত্র ৭ মে পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) কার্যালয় এবং ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত আইডিইবি ভবনে স্থাপিত দরপত্রের বাক্সে। এরপর আগামী ৯ মে বেলা ১১ টায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনুকূলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দিবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা। নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেয়া যাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ–কমিশনার মোহাম্মদ নাহিদুন্নবী দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে আমরা নিয়মিত নিলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করছি। নিলামের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় ছাড়াও বন্দরের ইয়ার্ড খালি করা হচ্ছে। এছাড়া নিলাম অযোগ্য পণ্য আমরা ধ্বংসও করছি।
