বছরে ১০টি ভারতীয় সিনেমা আমদানি হলে বাংলাদেশের সিনেমার কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের নেতারা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে চলচ্চিত্র শিল্প ইতোমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ৭০টির বেশি ছবি মুক্তি পেয়েছে, যা গড়ে প্রতি সপ্তাহে একটির বেশি। ঈদ উপলক্ষে সম্ভবত আটটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। একটি ছবি একশ সিনেমা হলে একযোগে মুক্তি পেয়েছে। অর্থাৎ চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। হিন্দি সিনেমা আমদানির বিষয়ে প্রদর্শক সমিতি বহুদিন ধরে বলে আসলেও চলচ্চিত্র অঙ্গণের সব সমিতি বিশেষ করে শিল্পী সমিতি একমত না হলে আমি পদক্ষেপ নিতে রাজি হইনি। অবশেষে আপনারা শিল্পী সমিতিকে আপনাদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পেরেছেন, এজন্য অভিনন্দন। খবর বিডিনিউজের।
তথ্যমন্ত্রী ভারতীয় সিনেমা এলে মানুষ হলমুখী হবে উল্লেখ করে বলেছেন, বছরে ১০টি ভারতীয় সিনেমা এ দেশে আমদানি হলে আমাদের সিনেমার কোনো ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। বরং মানুষ হলমুখী হবে, অনেক হল খুলবে। তখন আমাদের ছবির জন্য আরও বড় জায়গা তৈরি হবে। পাকিস্তানের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ৩০ থেকে ৩৫টিতে নেমে এসেছিল। তখন তারা ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি করার অনুমতি দিয়েছিল। এরপর হলের সংখ্যা বেড়ে ১২শ’ হয়েছে এবং সাথে সাথে পাকিস্তানের ছবির মানও অনেক উন্নত হয়েছে। আমাদের দেশেও ইতোমধ্যে অনেক ভালো ভালো ছবি হয়েছে, সামাজিক ছবি হচ্ছে।
নতুন সিনেপ্লেক্স হচ্ছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, স্টার সিনেপ্লেক্স দেশে ৫০টি সিনেপ্লেক্স করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোর কারণে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প আরও উপকার পাবে।