চকরিয়ার সাহারবিল ইউনিয়নে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে যাওয়া-আসার পথে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করতো এক যুবক। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল সে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী এতে কর্ণপাত না করায় সম্প্রতি অপহরণের পর নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক। সেই ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে বার বার প্রতারণা শুরু করলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচরে আনা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই ভিডিও একপর্যায়ে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়- এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো. শাহাতাদ হোসেনের (৩২) বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়। এর পর সেই মামলার আসামিকে কঙবাজারস্থ র্যাব-১৫ একটি দল অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। এর পর তাকে সোপর্দ করা হয় থানা পুলিশের কাছে।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, গত রবিবার দুপুরে রামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসামি মো. শাহাদাত হোসেনকে। এ সময় জব্দ করা হয় ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণে ব্যবহার করা মুঠোফোনটিও। তিনি আরো জানায়, ধর্ষণকাণ্ডের এই ঘটনায় জড়িত আসামিকে ধরতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও তৎপর হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শাহাদাত ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় র্যাবের হস্তাস্তরকৃত আসামি শাহাদাতকে গতকাল সোমবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।