কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরে চালক রাসেল আজম বাহাদুর (৩০) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই সহোদরকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৭)।
আজ রবিবার (৬ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
শনিবার দুপুরে হাটহাজারীর চিকনদন্ডী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতাররা হলো কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার নাপিতখালী পাড়ার মো. ইসহাকের পুত্র ইয়াছিন আরাফাত (২২) ও তার ভাই মো. কাজল (২৪)।
র্যাব জানায়, নিহত রাসেল আজম বাহাদুর কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকার একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন।
গত ১৩ অক্টোবর স্থানীয় বদরখালী কলেজপাড়া এলাকার যুবক মো. ইয়াছিন তার মাকে নিয়ে রাসেলের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বদরখালী বাজারে যান। ইয়াছিনের বাবা মোহাম্মদ ইসহাকের বদরখালী বাজারে খাবার হোটেল রয়েছে। বদরখালী বাজারে পৌঁছার পর অটোরিকশা চালক রাসেলের সঙ্গে ইয়াছিন ও তার মা আছিয়ার ভাড়া নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ভাড়া মিটিয়ে দেবার পর ভিকটিম ইয়াছিনের বাবার হোটেলে গিয়ে খাবার খাওয়ার জন্য বসলে ভিকটিমের সাথে ইয়াছিনের পূর্বের বিষয় নিয়ে আবার তর্কাতর্কি শুরু হয় এবং তর্কের এক পর্যায়ে ইয়াছিন দোকান থেকে ছুরি নিয়ে রাসেলের বুকে আঘাত করে।
এ সময় ইয়াছিনের সহযোগী কাজল এবং অন্যান্য আসামিরাও ভিকটিমকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাসেলকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, অটোরিকশাচালক রাসেল আজম বাহাদুর খুনের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতমনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত মামলার আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর গত ১৬ অক্টোবর ৩ নম্বর আসামি মো. ইসহাক(৫০)কে পুলিশ গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, “গতকাল শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চিকনদণ্ডী এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটক আসামিরা অকপটে স্বীকার যে তারা উল্লেখিত রাসেল আজম বাহাদুরকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।”
গ্রেফতারকৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
