শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমরা একে অপরের ধর্মকে শ্রদ্ধা করবো, একে অপরের উৎসবে শামিল হবো। ধর্মতত্ত্বের দিক থেকে এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সকল ধর্মের মধ্যে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ-এটা দেশের গণতন্ত্র, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি-সবকিছুর পূর্বশর্ত। চট্টগ্রাম সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির অনন্য নিদর্শন। এই ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। প্রত্যেক ধর্মের প্রতি তাঁর রয়েছে অগাধ আস্থা-শ্রদ্ধা। শিক্ষা উপমন্ত্রী রাসলীলার শিক্ষা নিয়ে সবাইকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল শনিবার নন্দনকানন তুলসীধামে রাসলীলা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তুলসীধাম ও অদ্বৈত-অচ্যুত ধামের মোহন্ত দেবদীপ পুরী মহারাজের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠানে সংবর্ধেয় অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আ. লীগ নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, চসিক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, মো. নূর মোস্তফা টিনু ও রুমকি সেনগুপ্ত। অনুপম দেবনাথ পাভেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন যোগেশ্বর চৌধুরী, লায়ন ডা. দুলাল দাশ, তুলসীধাম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক স্বপন চৌধুরী, রাসলীলা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সোনারাম ধর, সাধারণ সম্পাদক হরিশংকর ধর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, রাস হচ্ছে ভক্ত এবং ভগবানের মিলন উৎসব। জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন। ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করেছে, তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা করাই আমাদের মূল শিক্ষা। জাতির জনকের সংবিধানের মূল নীতির একটি ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে মানুষে মানুষে ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি করার শিক্ষা এই রাসোৎসব থেকেই পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে রাসতত্ত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সমীক্ষক সুদর্শন চক্রবর্তী। উৎসব উপলক্ষ্যে প্রবীণ ভক্ত সংবর্ধনা ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার আয়োজন করা হয়। রাসযাত্রা উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত ‘তপোবন’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
