আতঙ্ক কাটেনি, সীমান্ত পরিস্থিতি থমথমে

তুমব্রুর ওপারে এখনো থেমে থেমে গোলা বিস্ফোরণের শব্দ

বান্দরবান প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে মর্টারশেল এবং ভারী অস্ত্রের গুলি বর্ষণ হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমবার ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা যায়। দুপুর ১২টার দিকে কয়েকটি মর্টারশেলের গোলা বিস্ফোরণের আওয়াজ হয় সীমান্তের ওপারে তুমব্রু এলাকায়। কিছুক্ষণ পরিস্থিতি শান্ত থাকার পর বিকাল ৫টার দিকে ফের ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের আওয়াজে সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকা থেকে বাইশফাঁড়ি পর্যন্ত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বসবাসরত ৩শ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রমও শুরু হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, চাকমা পাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ তৈরি করেছে বিজিবি। সীমান্ত চৌকিগুলো থেকে আশপাশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি টহলও। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হতে আশ্বস্তের কাজ করছেন। ৯ম পৃষ্ঠার ৪র্থ কলাম
ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেম্বার সফিকুল ইসলাম বলেন, আগেরদিন সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত তিন দফায় ভারী অস্ত্রের ফায়ারিং এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে। কিন্তু অন্যান্য দিনের মত বুধবার মিয়ানমার সরকারি বাহিনী এবং সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মীর (এএ) মধ্যকার হামলার ভয়াবহতা কম ছিল। তাই তুমব্রু সীমান্তের এপারে বিকট শব্দের মাত্রাও কম ছিল। কিন্তু এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে এই ভেবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক বলা যায়। তুমব্রু সীমান্তে বুবধার গোলাগুলির শব্দ খুবই কম শোনা গেছে। ফায়ারিং আস্তে আস্তে উখিয়ার বালুখালীর দিকে চলে যাচ্ছে। তবে সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক করণীয় বিকল্প চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে সরকারের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধপৌরকর ইস্যুতে আবারো বাড়ছে উত্তাপ