পৌরকর ইস্যুতে আবারো বাড়ছে উত্তাপ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

পৌরকর (হোল্ডিং ট্যাক্স ও রেইট) ইস্যুতে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নগর। স্থগিত থাকা পাঁচ বছর পূর্বের এসেসমেন্টের আলোকে গৃহকর আদায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কার্যক্রম শুরুর পর এর প্রতিবাদ জানায় চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। গত এক মাস ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি। এদিকে সিটি মেয়র বার বার দাবি করে করেছেন, গৃহকর নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে পূর্বের এসেসমেন্টের আলোকে পৌরকর আদায় করতে হচ্ছে। তবে এসেসমেন্ট নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে আপিল করতে পারবেন। ইতোমধ্যে বহু করদাতা আপিলও করেছেন। চলছে শুনানিও।
সিটি মেয়রের আহ্বান, ভবন মালিকদের আপিল দায়ের, আপিল বোর্ডের শুনানি এবং করদাতা সুরক্ষা পরিষদের আন্দোলন চলছিল সমানতালেই। বিষয়গুলো নিয়ে কিছুটা উত্তাপ থাকলেও তা ছিল নিজ নিজ গণ্ডির মধ্যে। এর মধ্যে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ সভাপতি নুরুল আবছারের একটি বক্তব্য ঘটনার মোড় ঘুুরিয়ে দেয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাদারবাড়িতে সমাবেশে তিনি সিটি মেয়রের উদ্দেশে ‘মানহানিকর ও হুমকিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন দাবি করে তার বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মোস্তফা কামাল চৌধুরী দুলাল। নুরুল আবছারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান ভারপ্রাপ্ত মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরবৃন্দ। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার প্রতিবাদ জানিয়েছে চসিক সিবিএ। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে পশ্চিম মাদারবাড়ি ও পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায়। এদিকে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে করদাতা সুরক্ষা পরিষদও। গতকালও কদমতলীতে সভা করে সংগঠনটি। এছাড়া আগামী শুক্রবার বিকেলে কদমতলী থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব পর্যন্ত গণমিছিল করার কথা রয়েছে। এছাড়া ধারাবাহিকভাবে মহাসমাবেশ, গণশুনানিসহ অন্যান্য ৯ম পৃষ্ঠার ৪র্থ কলাম
কর্মসূচি পালন করবেন বলে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে। এদিকে মেয়রকে উদ্দেশ্য করে দেয়া ‘মানহানিকর ও হুমকিমূলক’ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরো সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় গৃহকর ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তাপ বাড়ছে নগরে।
জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলদের স্মারকলিপি দেয় চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। এতে ‘গলাকাটা’ হোল্ডিং ট্যাঙ বাতিলের দাবি জানানো হয়। এর আগে ২৩ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে। ২ সেপ্টেম্বর কদমতলীতে গণমিছিল ও সমাবেশ করে। ওই সমাবেশ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ কর্মসূচিকে ঘিরে ৩ সেপ্টেম্বর গতকাল পর্যন্ত থেকে প্রতিদিন পাড়ায়-মহল্লায় উঠোন বৈঠক ও সমাবেশ করে যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল কদমতলীতে সমাবেশ করে।
চলমান আন্দোলনে সাধারণ ভবন মালিকরা স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছেন জানিয়ে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, দি সিটি কর্পোরেশন ট্যাঙেশন রুলস ১৯৮৬ বাতিল না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আইনটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মে অর্থাৎ আয়তনের ভিত্তিতে যেন গৃহকর আদায় করেন সে আহ্বান থাকবে মেয়রের প্রতি।
তিনি বলেন, যে কারণে মামলা করা হয়েছে তা অত্যন্ত হাস্যকর। একটি পাবলিক মিটিংয়ে নেতৃবৃন্দ অনেক কথা বলে থাকে। আবছার ভাই মেয়র মহোদয়কে গালাগাল করেননি। আসলে কর্পোরেশন আমাদের পূর্ব ঘোষিত গণমিছিল বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবু এতে মেয়র মহোদয়ের মনোকষ্ট হয় তাহলে আমরা বিনয়ের সাথে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ঘর ভাড়ার উপর গৃহকর অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
বর্তমানে সিটি মেয়র ভারতে অবস্থান করছেন। একদিন আগে তিনি মুঠোফোনে দৈনিক আজাদীকে বলেন, পাঁচ বছর আগের এসেসমেন্টে অনেক অসঙ্গতি আছে। এটা সত্য ওই এসেসমেন্টে কয়েকগুণ কর বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু মন্ত্রণালয় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে তাই আমরা ওই এসেসমেন্টের আলোকে গৃহকর আদায়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। এখন এসেসমেন্টে কোনো অসঙ্গতি নিয়ে করদাতাদের যদি আপত্তি থাকে তারা আপিল করতে পারবেন। আপিল করার জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। যারা আপিল করেছেন শুনানিতে তাদের গৃহকর সহনীয় করা হচ্ছে। করদাতাদের সামার্থ্য বিবেচনা করে ট্যাঙ ধার্য্য করা হচ্ছে। অতীতে কেউ ১০ টাকা ট্যাঙ দিয়ে থাকলে ১২ টাকা করা হচ্ছে। অল্প পরিমাণে বাড়ানো হচ্ছে। এতে করদাতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
মেয়র বলেন, ২০০৯ সালে কর মূল্যায়নের উপর এতদিন করদাতারা কর দিয়েছেন। সরকারি নির্দেশেনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের পৌরকর মূল্যায়নের উপর কর আদায়ের জন্য চসিকের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে অসঙ্গতি নিয়ে আপত্তি থাকলে আপিল করা ছাড়া অন্য কোনো সুযোগ নেই।
যে এসেসেমেন্ট নিয়ে এত আপত্তি :
দি সিটি কর্পোরেশন ট্যাঙেশান রুলস অ্যাক্ট ১৯৮৬ এর ২১ ধারা মতে, সিটি এলাকায় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সকল প্রকার স্থাপনার পরিমাপ ও সংশ্লিষ্ট তথ্য সরেজমিন সংগ্রহ করে পৌরকর নির্ধারণ করা হয়। আইনটির আলোকে ২০১৬ সালের গৃহ ও ভূমির পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়ন (রি-এসেসমেন্ট) করে চসিক। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ প্রথম দফায় নগরের ১১টি ওয়ার্ডে এসেসমেন্ট শুরু করে এবং একই বছরের ২০ জুন শেষ হয়। দ্বিতীয় দফায় একই বছরের ১৮ অক্টোবর বাকি ৩০টি ওয়ার্ডে এসেসমেন্ট শুরু করে এবং তা শেষ হয় ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি। পুনর্মূল্যায়ন শেষে তা ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়।
তখন প্রস্তাবিত পৌরকের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান ভবন মালিকরা। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে তারা মাঠে নামেন। এক্ষেত্রে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে। প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরী ও সাবেক মেয়র মনজুর আলমও এর বিরোধিতা করেন। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর গৃহকর বৃদ্ধি করায় জাতীয় সংসদেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মন্ত্রী-এমপিরা।
এরপর একই বছরের ২৬ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রণালয়টির শীর্ষ কমর্তকর্তারা। এতে সারা দেশের গৃহকর কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় না আসা পর্যন্ত এসেসমেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। যা ১০ ডিসেম্বর চসিককে পত্র দিয়ে জানিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়। অবশ্য এর আগে মৌখিক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ২৭ নভেম্বর থেকে এসেসমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছিল চসিক। স্থগিতের আগের দিন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৩৫২ জন হোল্ডার আপিল করেন। এর মধ্যে তিন হাজার ৯৭৮ টি আপিল নিষ্পত্তিও করা হয়ছিল।
সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাব দেয় চসিক। পরদিন সিটি মেয়রের নির্দেশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে চসিকের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শহীদুল আলম এ বিষয়ে সহযোগিতা চান। এরপ্রেক্ষিতে ১৮ জানুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। অবশ্য বর্তমান মেয়র দায়িত্ব নেয়ার চার মাসের মাথায় ২০২০ সালের ৩ জুনও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল চসিক।
স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর গত ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের এসেসমেন্টের আলোকে কর আদায়ে কর্যক্রম শুরু করে চসিক।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চসিকের তৎকালীন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্থগিত হওয়া রি-এসেসমেন্টের আলোকে পৌরকর আদায়ে প্রস্তাব দেন। এর প্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারও করে নেয় মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, চসিকের নিজস্ব আয়ের মূল উৎস পৌরকর। সিটি কর্পোরেশন অ্যাক্ট ২০০৯ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই চসিক মোট ১৭ শতাংশ পৌরকর আদায় করে থাকে। তার মধ্যে ৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাঙ (গৃহকর), ৩ শতাংশ বিদ্যুতায়ন রেইট এবং ৭ শতাংশ আর্বজনা অপসারণ রেইট রয়েছে।
অত:পর সুরক্ষা পরিষদের ধারাবাহিক কর্মসূচি :
গত ৩০ আগস্ট বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলদের স্মারকলিপি দেয় চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। এতে ‘গলাকাটা’ হোল্ডিং ট্যাঙ বাতিলের দাবি জানানো হয়। এর আগে ২৩ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে। ২ সেপ্টেম্বর কদমতলীতে গণমিছিল ও সমাবেশ করে। ওই সমাবেশ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ কর্মসূচিকে ঘিরে ৩ সেপ্টেম্বর গতকাল পর্যন্ত থেকে প্রতিদিন পাড়ায়-মহল্লায় উঠোন বৈঠক ও সমাবেশ করে যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল কদমতলীতে সমাবেশ করে।
মামলায় ভীত নয় সুরক্ষা পরিষদ :
করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় কদমতলীতে সভা করেছে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। সমাবেশ থেকে দাবি করা হয়, মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে। তবে মামলায় ভয় পেয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসবে না। সৈয়দ আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহম্মদ আমির, সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, হাসান মারুফ রুমী, মফিজুর রহমান, হারুনুর রশীদ, ইসমাইল হোসেন মনু, সিদ্দিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বিশুময় দেব, নজরুল ইসলাম সর্দার, মীর মো. ইসলাম, আরশাদ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, আবদুর রহিম। জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, গণ-আন্দোলন করতে গেলে এমন আঘাত আসবে সেটা আমাদের জানা ছিল- আমরা এমন মামলা-হামলায় ভীত নয়।
মেয়রকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ সমাবেশ :
সিটি মেয়রকে উদ্দেশ্য করে দেয়া চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি নুরুল আবছারের ‘মানহানিকর ও হুমকিমূলক’ বক্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার নগরের পশ্চিম মাদারবাড়ি ও পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য দেন, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুবুল হক মিয়া, সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদ, কাউন্সিলর নীলু নাগ, দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম প্রমুখ। সিবিএর বিবৃতি :
গতকাল এক বিবৃতিতে চসিক সিবিএ নেতৃবৃন্দ বলেন, করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতির ব্যক্তিগতভাবে ঈর্ষান্বিত হয়ে যে ভাষায় মেয়রকে গালমন্দ করেছেন কোনো সুস্থ মানসিকতার মানুষের পক্ষে এ ধরনের আচরণ করা সম্ভব নয়। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত মেয়রকে তুই-তুকারি করে এবং নগর থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়ে বক্তব্য প্রদান করায় শুধু মেয়র নয়, পুরো চসিক পরিবারের মানহানি করা হয়েছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, জাহিদুল আলম চৌধুরী, ইয়াছিন চৌধুরী, বিপ্লব কুমার চৌধুরী, মো. আবুল মাসুদ, মো. তারেক সুলতান, ফরিদ আহমদ, মো. খোরশেদ আলম, সুভাষ চক্রবর্তী, রতন চৌধুরী, কল্লোল দাশ বাপ্পী, মো. শফি, যোগেশ দাশ, দিলাবর ও দীলিপ দাশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআতঙ্ক কাটেনি, সীমান্ত পরিস্থিতি থমথমে
পরবর্তী নিবন্ধ১ অক্টোবর হচ্ছে না মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন