ঋণ খেলাপির দায়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে মুক্ত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী মো. আবু তালেব। খবর বাংলানিউজের।
তিনি জানান, আদালত ওই পরিবারের ১১ জনের পাসপোর্ট বা যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার শর্তে মুক্তির আদেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বুধবার শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদের পাসপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়। আর র্যাবের কাছে বুধবার রাতে চারজনের পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় দুই বোন র্যাবের হেফাজত থেকে মুক্ত হন। দু’জনের জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি আদালতে জানানোর পর আদালত বলেছেন, ১১ সদস্যের মধ্যে বাকি তিন সদস্য তাদের পরিবারের সদস্য কিনা কিংবা সদস্য হলে তাদের পাসপোর্ট আছে কিনা এবিষয়ে আগামী সোমবারের (২৯ আগস্ট) মধ্যে হলফনামা দিতে হবে। এর আগে বুধবার হাজির করার পর গ্রেফতারকৃত দুই বোন মুক্তি পাবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বা এনআইডি কার্ড জমা দেওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আর তাদের কাছে যে টাকাটা (১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬২ টাকা) পিপলস লিজিং পায়, তার ৫ শতাংশ ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।