হাটহাজারীতে স্বামী মো. সাঈদ শফীর (৪৫) ছুরিকাঘাতে স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫) খুন হয়েছেন। গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বুড়িশ্চর ৩ নং ওয়ার্ড ফুজদার আলী ফকিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক সাঈদ শফী স্থানীয় মৃত ছিদ্দিক আহদের পুত্র। এ ঘটনায় নিহত ফেরদৌসের ভাই বাদী হয়ে স্বামীসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত ফেরদৌস বুড়িশ্চর ইউনিয়নের নজুমিয়াহাট ৫ নং ওয়াডের্র আবদুল মজিদ টেন্ডরের বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের ভাই ফোরকান আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছে বোনের সংসারে। বিভিন্ন সময় আমার বোনের স্বামী বোনকে মারধর করে আমাদের থেকে টাকা নিত। সব সময় বোনকে নির্যাতন করত। গত শনিবার গভীর রাতে আমার বোনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহতের স্বামী পুলিশকে বলেন, প্রবাসে থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী পরকিয়ায় লিপ্ত হয়েছে। একাধিকবার এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হত। তাকে নিষেধ করার পরেও সে পরকিয়া থেকে ফেরে আসেনি। আমি আর প্রবাসে যায়নি। তারপরেও সে আমার সাথে সব সময় ঝগড়া করত। কোনো কিছু বললেই আমাকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিত। বারবার তার এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজের হাতে ছুরি দিয়ে প্রথমে পেটে আঘাত করি। তারপর শরীরের কয়েকটি স্থানে আঘাত করি। মানুষ বিয়ে করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শান্তিতে বসবাস করার জন্য। কিন্তু বিয়ের দীর্ঘ ১১ বছর পার হলেও শান্তিতে সংসার করতে পারিনি। তাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছি।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, স্বামী স্ত্রীকে খুন করেছে। রাতেই নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার এবং খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করি। মামলা করেছে নিহতের ভাই। বিজ্ঞ আদালতে আসামিকে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।