না মহিউদ্দিনের
দুবাইয়ে দেড় যুগ পালিয়ে ছিলেন আলোচিত নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিন (৪৬)। তবে শেষ রক্ষা হলো না। দেশে এসে আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হলো র্যাব –৭ এর হাতে। গত শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মন্দাকিনী এলাকার এলাহী বঙের ছেলে। আসামি মহিউদ্দিন কুখ্যাত নাসির গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য এবং নাসিরের ছোট ভাই।
র্যাব– ৭ সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে নগরীর জামালখান বাসায় সংবাদপত্র পড়ার সময় নাসির গ্যাংয়ের ক্যাডাররা গুলি করে হত্যা করে। ওই মামলায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৩ সালে মামলার রায়ে আসামি মহিউদ্দিনসহ ৪ জনের ফাঁসি আদেশ হয় এবং ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত আসামি মহিউদ্দিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় মহিউদ্দিন দুবাইয়ে পলাতক ছিল। ২০২১ অক্টোবরে মহিউদ্দিন দুবাই থেকে বাংলাদেশে এসে বিভিন্নস্থানে আত্মগোপন করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব–৭ জানতে পারে যে, সে পুনরায় দুবাই পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করছে। দুবাই যাওয়ার জন্য সে শনিবার করোনা টেস্ট দিতে বের হয়ে কাজ শেষে সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব–৭ এর একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার মহিউদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।