সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদের নেতৃত্বে গতকাল দুপুরে টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ট্রেড ম্যাক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চসিকের সম্পাদিত সৌর্ন্দযবর্ধন প্রকল্পের দুটি চুক্তিপত্র, ৪৪টি সৌন্দর্যবর্ধন কাজের তালিকা এবং গত মাসে প্রণীত সৌন্দর্যবর্ধন নীতিমালা নিয়ে যায় এনফোর্সমেন্ট টিম। নথিপত্রপত্রগুলো যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে তারা।
বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ। তিনি বলেন, দুদকে হটলাইন নম্বরে অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। আমরা মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে এবং নগর পরিকল্পনাবিদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছি।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনের জন্য মেয়র এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক টিম।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা টিমকে জানান, সৌন্দর্যবর্ধন সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কোনো প্রকল্প নয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে ৪৪টি স্পটে সৌন্দর্যবর্ধন এবং বছর শেষে একটি নির্দিষ্ট অর্থ কর্পোরেশনের কোষাগারে জমা দেওয়া সাপেক্ষে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় তিন বছর আগে সম্পন্ন হয়।