নৌকা ৩১, বিদ্রোহী ৬ ও স্বতন্ত্র ১১

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৬৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গতকাল প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে ৩১টিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৬টিতে এবং স্বতন্ত্র ১১টিতে জয়ী হয়েছেন। বেশ কিছু ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কিছু ইউনিয়নে চূড়ান্ত ফল এখনো পাওয়া যায়নি।
পটিয়ায় আওয়ামী লীগের ১১ জন জয়ী : পটিয়া প্রতিনিধি জানান, পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে ১১ জন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী বেসরকারিভাবে জয়ী হতে যাচ্ছেন। ছনহরা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ধাওর ডেঙ্গা সারদা চরণ উচ্চ বিদ্যালয় ও ৪ নং ওয়ার্ডের রমেশ ফনিন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। জিরি ইউনিয়নের সাইদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। এই দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সামশুল আলম ও আমিনুল ইসলাম খান টিপু এগিয়ে রয়েছেন। গত রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইন ১৭ ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বারের নাম ঘোষণা করেন। কাশিয়াইশে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম (নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৪শ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছ (আনারস) ৩ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়েছেন। জঙ্গলখাইনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাহাদাত হোসেন সবুজ মেম্বার (চশমা) ৩ হাজার ৮৪ ভোট। নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ ইদ্রীছ ২ হাজার ৪৩৬ ভোট, দিদারুল আলম স্বতন্ত্র (আনারস) ১ হাজার ৫৫৮ ভোট। জিরিতে আওয়ামী লীগের আমিনুল ইসলাম টিপু (নৌকা) ৬ হাজার ৭৪১ ভোট, আবুল কালাম আজাদ বাবুল স্বতন্ত্র (চশমা) ৪ হাজার ৫০৪ ভোট, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভোলা (ঘোড়া) ৪ হাজার ১১৮ ভোট, মনির আহমদ জাপা (আনারস) ২০৫ ভোট, জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (লাঙল) ৫১ ভোট। জিরিতে একটি ভোট কেন্দ্র ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। সেখানে ভোটার ২ হাজার ৩৩৯। কোলাগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুল হক চৌধুরী (টেলিফোন) ৭ হাজার ১৭৩ ভোট, আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী কাসেম রাসেল (আনারস) ৪ হাজার ৩১২ ভোট, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আহমদ নুর (নৌকা) ২ হাজার ৯৮৮ ভোট পেয়েছেন।
কুসুমপুরায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকারিয়া ডালিম (আনারস) ৫ হাজার ৩৩৬ ভোট, অপর বিদ্রোহী প্রার্থী নুর উর রশীদ চৌধুরী এজাজ (চশমা) ৫ হাজার ৪৫ ভোট ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইব্রাহীম বাচ্চু (নৌকা) ৪ হাজার ৪৩২ ভোট। হাবিলাসদ্বীপে আওয়ামী লীগের ফৌজুল কবির কুমার (নৌকা) ৭ হাজার ৬৩৮, বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র (আনারস) ২ হাজার ১৫০ ভোট। কচুয়াই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম (নৌকা) ৮ হাজার ২৩০ ভোট, সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বাবু স্বতন্ত্র (আনারস) ৩ হাজার ১১০ ভোট। খরনায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান (নৌকা) ৪ হাজার ৫৬৫ ভোট, সাবেক চেয়ারম্যান মফজল আহম্মদ চৌধুরী স্বতন্ত্র (আনারস) ৩ হাজার ৩৩২ ভোট। আশিয়ায় বিজয়ী হন নৌকার এম এ হাসেম। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৭২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী মাইনুল হক রাশেদ (আনারস) ২ হাজার ৬৪৮ ভোট। ছনহরায় আওয়ামী লীগের সামসুল আলম (নৌকা) ৪ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী স্বতন্ত্র (আনারস) ২ হাজার ৯৩৩ ভোট। এখানে দুুটি কেন্দ্র স্থগিত রয়েছে। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭ ভোট।
ভাটিখাইনে আওয়ামী লীগের (নৌকা) বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার ৩ হাজার ৪৯৬, তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ফরিদুল আলম (লাঙল) ৮৮০ ভোট, আমিনুল হক স্বতন্ত্র (আনারস) ৭২১ ভোট। ধলঘাটে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান রনবীর ঘোষ টুটুন (নৌকা) ৫ হাজার ৩৪৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শফিউল আলম বাদশা (আনারস) ৫ হাজার ১৯৮ ভোট, মুহিবুল্লাহ চৌধুরী (হাতপাখা) ১৭ ভোট। কেলিশহরে আওয়ামী লীগের সরোজ কান্তি সেন নান্টু (নৌকা) পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৫৭ ভোট, নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী নিখিল দে (আনারস) ৩ হাজার ৩৭১ ভোট পেয়েছেন। হাইদগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) ৫ হাজার ৬৩৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থী (নৌকা) আবুল হাসনাত ফয়সাল ৪ হাজার ৩৪৮ ভোট, নাছির উদ্দীন (ঘোড়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ হাজার ৫৮ ভোট পেয়েছেন। শোভনদন্ডীতে এহসানুল হক, দক্ষিণভূর্ষীতে মো. সেলিম ও বড়লিয়ায় শাহিনুল ইসলাম শানু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কর্ণফুলীতে নৌকা ৩, স্বতন্ত্র ১ : পটিয়া প্রতিনিধি জানান, কর্ণফুলীতে ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে নৌকা ও ১টিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল এ ফলাফল নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুস শুক্কুর।
শিকলবাহায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার আবদুল করিম ফোরকান পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৩৫ ভোট। চরলক্ষ্যায় বিজয়ী হন নৌকার সোলায়মান তালুকদার। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ২৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (চশমা) বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ২৩৫ ভোট। মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪৭ ভোট, এটিএম হানিফ (মোটরসাইকেল) ১৪ ভোট, নাসির আহমেদ (ঘোড়া) ৪ ভোট।
জুলধায় বিজয়ী হন নৌকার মোহাম্মদ নুরুল হক। তার প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৮৫২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের মোহাম্মদ মুছা পেয়েছেন ৩ হাজার ৯০৭ ভোট, বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদ (আনারস) ১ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। বড়উঠানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল আলম।
লোহাগাড়ায় আওয়ামী লীগ ৩, বিদ্রোহী ১ : লোহাগাড়া প্রতিনিধি জানান, লোহাগাড়ায় ৬ ইউনিয়নের মধ্যে চুনতিতে আওয়ামী লীগের মো. জয়নুল আবেদীন, কলাউজানে আবদুল ওয়াহেদ, পদুয়ায় মোহাম্মদ হারুনর রশিদ এবং চরম্বায় বিদ্রোহী প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চরম্বায় বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (আনারস) ৫ হাজার ২৪৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদাত উল্লাহ (মোটরসাইকেল) ৩ হাজার ৪৭৪ ভোট ও শফিকুর রহমান (নৌকা) ৩ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়েছেন। কলাউজানে আবদুল ওয়াহেদ (নৌকা) ৮ হাজার ৩৮০ ভোট, বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ ইয়াছিন (আনারস) ৬ হাজার ২৭০ ভোট পেয়েছেন। চুনতিতে মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (নৌকা) ১২ হাজার ৪৭৫ ভোট, বিদ্রোহী প্রার্থী আনিছ উল্লাহ (আনারস) ৯৩৭ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (চশমা) ৩ হাজার ৪ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী বড়হাতিয়ায় বিজয় কুমার বড়ুয়া ও পুটিবিলায় মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোছেন।
বান্দরবানে ৭টিতে আ. লীগ : বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোট হয়। প্রাপ্ত ফলাফলে রোয়াংছড়ি উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নোয়াপতং, আলেক্ষ্যংয়ে বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা ও রোয়াংছড়ি সদরে মেহ্লাঅং মারমা এবং তারাছা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
রোয়াংছড়ি সদরে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী মেহ্লাঅং মারমা পেয়েছেন ২ হাজার ৫৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) উমংসিং মারমা পেয়েছেন ১ হাজার ৭২০ ভোট। আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা পেয়েছেন ১ হাজার ৯১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একমাত্র নারী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ৪২৭ ভোট। তারাছা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) উনুমং মারমা পেয়েছেন ২ হাজার ২৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের (নৌকা) বর্তমান চেয়ারম্যান উথোয়াইচিং মারমা পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮৫ ভোট। নোয়াপতং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের চনুমং মারমা পেয়েছেন ১ হাজার ৫শ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) শম্বু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা পেয়েছেন ১ হাজার ১৫০ ভোট।
থানচি উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে বলিপাড়ায় জিয়াঅং মারমা, রেমাক্রীতে আওয়ামী লীগের মুইশৈথুই মারমা, তীন্দু ইউনিয়নে মংপ্‌রুঅং মারমা এবং থানচি সদরে অংপ্‌রু ম্রো এগিয়ে রয়েছেন। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফলে পাওয়া না যাওয়ায় বেসরকারিভাবে কাউকে ঘোষণা করা হয়নি।
টেকনাফ পৌরসভা ও সেন্টমার্টিনে নৌকা, বাহারছড়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় : টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র পদে হাজি মোহাম্মদ ইসলাম, সেন্টমার্টিনে মুজিবুর রহমান ও বাহারছড়া ইউনিয়নে আমজাদ হোসেন খোকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলার মোট তিনটি পদে দুটি আওয়ামী লীগ ও একটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বেদারুল ইসলাম জানান, বাহারছড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেন (মোটরসাইকেল) ৪৭৭৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মৌলানা আজিজ উদ্দিন ৪৭২০ ভোট পেয়েছেন।
টেকনাফ পৌরসভায় সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির চাচা হাজি মোহাম্মদ ইসলাম (নৌকা) ৯৭৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল পেয়েছেন (স্বতন্ত্র) ১৪৮২ ভোট।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে মুজিবুর রহমান বেসরকারিভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১২১০ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর আহমদ (মোটরসাইকেল) ৮২২ ভোট, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহিদ হাসান (আনারস) ৬৮০ ভোট, মৌ. আব্দুর রহমান (চশমা) ৩৮৫ ভোট ও মৌ. ফিরোজ আহমেদ (টেলিফোন) ২৪ ভোট পেয়েছেন।
রাঙামাটির দশটির নয়টিতে স্বতন্ত্র, একটিতে নৌকা : রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটি সদর ও নানিয়ারচর দুই উপজেলায় ১০ ইউনিয়নের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯ জন এবং একজন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নে পদে ১৩৩৮ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কানন চাকমা নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলোময় চাকমা পেয়েছেন ১২৮৬ ভোট। সাপছড়িতে ২৩১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রবীন চাকমা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিরু কুমার চাকমা পেয়েছেন ১২০১ ভোট। জীবতলী ইউনিয়নে ১১১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সুদত্ত কার্বারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যতীন চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা পেয়েছেন ৭২৮ ভোট। বন্দুকভাঙ্গায় ১৫৩১ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অমর চাকমা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিনয় শংকর চাকমা ১৪৪৩ ভোট। বালুখালীতে নৌকার প্রার্থী ২৩০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রনেন বিকাশ চাকমা (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ১৬৬০ ভোট। মগবানে ১৩৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পুষ্প রঞ্জন চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অমিয় চাকমা পেয়েছেন ৯০৭ ভোট।
নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নে ৩৫২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সুপন চাকমা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শান্তিজীবন চাকমা পেয়েছেন ১৭৯২ ভোট। বুড়িঘাটে ৪২৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন প্রমোদ খীসা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুল ওহাব হাওলাদার (নৌকা) পেয়েছেন ২৪৮৭ ভোট। নানিয়ারচর সদরে ৩৬৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাপ্পী চাকমা (স্বতন্ত্র)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দর্শন চাকমা ঝন্টু (নৌকা) পেয়েছেন ৩৬৫১ ভোট। ঘিলাছড়িতে ২৬০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অমল কান্তি চাকমা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিঠু দেওয়ান পেয়েছেন ২৩৭৮ ভোট।
রামগড় মানিকছড়ির ৫টিতে নৌকার জয় : খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ির রামগড় ও মানিকছড়ির ৫ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। রামগড় ইউনিয়নে টানা তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক করলেন শাহ আলম মজুমদার (নৌকা, ৫৭১৩ ভোট)। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী করিমুল হক মজুমদার (আনারস, ২৪৯০ ভোট)। পাতাছড়া ইউনিয়নে কাজী নুরুল আলম আলমগীর (নৌকা) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মানিকছড়ির মানিকছড়ি ইউনিয়নে মো. শফিকুর রহমান ফারুক (নৌকা) ৬৫৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যোগ্য মারমা (আনারস) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০ ভোট।
বাটনাতলীতে বিজয়ী হয়েছেন আবদুর রহমান (নৌকা, ৪৭৩৫ ভোট)। প্রতিদ্বন্দ্বী মংসাপ্রু চৌধুরী (চশমা) পেয়েছেন ৩৫১০ ভোট। তিনটহরী ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন আবুল কালাম আজাদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার আইস জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধচসিকে অভিযান দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের