রাঙামাটির নানিয়ারচরে বাক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে হারুন অর রশীদ নামে ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ ই এম ইসমাইল হোসেন। গতকাল ১৫ ডিসেম্বর আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। আদেশে বিচারক বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায়
প্রত্যক্ষদর্শী সহ ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষীদের মৌখিক, দালিলিক ও ফরেনসিক রির্পোটে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে যে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ হওয়া সত্বেও আসামি হারুন অর রশীদ ১১ বছরের প্রতিবন্ধী কন্যা শিশুকে ধর্ষণ করেছেন। এ অপরাধে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। ৬০ দিনের মধ্যে এ জরিমানার টাকা নির্যাতিতা শিশুর পিতা-মাতাকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে টাকা দিতে ব্যর্থ হলে পরবতী ১৮০ দিনের মধ্যে আসামির স্থাবর -অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করে তা নিলামে দিয়ে বিক্রয়লব্ধ অর্থ ট্রাইবুন্যালে জমা দেয়ার জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়।
২০২০ সালের ৪ অক্টোবর রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের
ইসলামপুরের বাক প্রতিবন্ধী ১১ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ৮৫ বছর বয়সী হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন প্রতিবন্ধী
কন্যা শিশুর মা। এ রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
