কি যে হয়েছে মেসিদের। একের পর এক ড্রয়ের বৃত্তে আটকে গেছে তারা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের পর কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচেও জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির রেকর্ড গোলের পরেও চিলির বিপক্ষে ম্যাচটিতে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। গত ৪ জুন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচেও একই দলের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল আর্জেন্টিনা। সেদিনও আগে গোল করেছিলেন মেসি। পরে শোধ দিয়ে ম্যাচ ড্র করে চিলি। গত মঙ্গলবার ভোরেও ঘটল তারই পুনরাবৃত্তি। ৩২ মিনিটে মেসির সৌজন্যে কাঙ্খিত গোল পায় আর্জেন্টিনা। নিজেদের বঙের ঠিক সামনে চিলি মিডফিল্ডার এরিক পুলগার বাধা দিতে গিয়ে ফাউল করে বসেন জিওভানি লো সেলসোকে। তাতে ফ্রি কিক পেলে মেসি বাঁকানো শটে করেন দেখার মতো এক গোল। চিলির বানানো মানব দেয়ালের ওপর দিয়ে তার মাপা শট জালে জড়িয়ে যায়, গোলকিপার ক্লাউদিও ব্রাভো লাফিয়েছিলেন কিন্তু কাজ হয়নি তাতে। ওই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অন্য দলে পরিনত হয় আর্জেন্টিনা। বিপরীতে চিলি হয়ে ওঠে মারাত্মক আক্রমণাত্মক। আর্জেন্টিনার দুর্বল রক্ষণের ফায়দা তুলতে না পারলেও ঠিকই পেনাল্টি আদায় করে নেয় চিলি। ৫৩ মিনিট থেকে রিও ডি জেনেইরোয় নিলতন স্টেডিয়ামে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আর্জেন্টিনার রক্ষণের ভুলে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে যান ভার্গাস, কিন্তু তার শট গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন। ফিরতি বলে আর্তুলো ভিদাল শট নিলে তাকে ফাউল করে বসেন নিকোলাস তাগিয়াফিকো। জমে যায় নাটক। চিলি পেনাল্টির আবেদন করলে সিদ্ধান্ত যায় ভিএআরের কাছে। পরবর্তীতে রেফারি সাইড স্ক্রিনে দেখে সিদ্ধান্ত দেন পেনাল্টির। এখানেই শেষ নয়, পেনাল্টিতে আরেক নাটক। আগের পাঁচ স্পট কিকের সবক’টি জাল খুঁজে নেওয়া ভিদালকে রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো। কিন্তু দুর্ভাগ্য মেসিদের, গোলকিপারের হাতে লেগে বল বারে প্রতিহত হয়ে ফিরে এলে ফিরতি বল হেডে জালে জড়িয়ে দেন ভার্গাস ৫৭তম মিনিটে। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা আপত্তি জানালে আবার ভিএআরের সাহায্য। কিন্তু সিদ্ধান্ত আর্জেন্টিনার পক্ষে আসেনি। গোল বহাল রাখলে সমতায় ফেরে চিলি।’ কোপায় অন্য ম্যাচে শুরুটা দারুণ হলো প্যারাগুয়ের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে দলটি।