জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ৫ থেকে ১৯ জুন

| মঙ্গলবার , ১ জুন, ২০২১ at ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

সারাদেশের ন্যায় আগামী ৫ জুন শনিবার থেকে ১৯ জুন শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে দুই সপ্তাহব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ সময় চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় মোট ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ১৪ উপজেলায় এবার মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার ৫০৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৮৯ হাজার ৪৩৯ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তাছাড়া জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪১টি ওয়ার্ডে ৬-১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার ৫’শ শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লক্ষ ৫২ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম জেলা অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো. সাঈদ হাসান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. সেলিম উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমও সিএস ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ও এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার প্রমূখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার ১৪ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সভার আয়োজন করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, এবার ৫-১৯ জুন সময়ে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় মোট ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে জেলার ১৪ উপজেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৮৯ হাজার ৪৩৯ জন, ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫ জন, মহানগরী এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার ৫০০ জন ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫২ হাজার।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্র্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। এ কর্মসুচি সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কোন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়ানো থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান দেয়া হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে সরকারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, করোনাকালীন এ সময়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার ব্যতীত চট্টগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালসহ ১৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ, প্রত্যেক ইউনিয়ন সাব- সেন্টার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এবার ৬-১১ মাস বয়সী ৮৯ হাজার ৪৩৯ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যে সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দুই দিন ইপিআই কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেখানে সপ্তাহে ৪ দিন ও ইপিআই কার্যক্রম নেই এমন কেন্দ্রগুলোতে ঐ বয়সী শিশুদেরকে সপ্তাহে ৬ দিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তাছাড়া জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪১টি ওয়ার্ডে ৬-১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার ৫’শ শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লক্ষ ৫২ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিভাগীয় কমিশনারকে ওমরগণি এমইএস কলেজের বিদায় সংবর্ধনা
পরবর্তী নিবন্ধভেজাল রেণু বিক্রিতে তৎপর প্রতারক চক্র