সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীন প্রকাশ কালা মিয়াকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রীর প্রেমিক শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন। বাংলানিউজ
সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, লিমা আক্তারের সঙ্গে শাহাদাত হোসেন কাইয়ুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামী জয়নাল আবেদীন প্রকাশ কালা মিয়া হত্যার ঘটনায় প্রেমিক শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেছেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। গতকাল রবিবার বিকেলে মিরসরাই উপজেলার আমবারিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জয়নাল আবেদীনের ছোট ভাই মহি উদ্দিন বাদি হয়ে নিহতের স্ত্রী লিমা ও তার প্রেমিক শাহাদাত হোসেন কাইযুমের নাম উল্লেখ করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় লিমা আক্তারকে শনিবার গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে জয়নাল আবেদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জয়নালের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত মো. ইসলামের ছেলে।
নিহতের বোন সাবিনা ইয়াছমিন জানান, পারিবারিকভাবে জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে লিমা আক্তারের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। জয়নাল ছিলেন সবজি ব্যবসায়ী। তাদের সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি তার স্ত্রী একই এলাকার শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম নামের এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
এ খবর জানাজানি হলে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। সামাজিকভাবে কয়েক দফা সালিস বৈঠকেরও আয়োজন করেন জয়নাল।