নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পূর্বে প্রচ্ছন্ন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের ডালপালা মেললেও তা আমলে না নেয়ায় জাতির সর্বনাশা বিপর্যয় ঘটেছিল। তিনি বলেন, গত একযুগ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের নজীরবিহীন সাফল্য ও অর্জনে ঈর্ষান্বিত একটি মহল আবারও ১৯৭৫-এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। বাইরের শত্রুর চেয়ে ঘরের শত্রুরা অনেক বেশি ভয়ংকর। এদের নির্মূলে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যের ভিত মজবুত করতে হবে। গতকাল বুধবার দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপির তথাকথিত এক দফা আন্দোলন একটি ইস্যুবিহীন নৈরাজ্য সৃষ্টির অপপ্রয়াস। এদের একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া এবং পুরো জাতিকে জিম্মি করে রেখে শৃঙ্খলিত করা।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়, নগর আওয়ামী লীগের সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক কার্যক্রম ও ঐক্যের ভিতকে দুর্বল করার ঘৃণিত উদ্দেশ্যে নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে একটি স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচারমূলক ব্যানার টাঙিয়েছে। এরা নিজেদের যোগ্য ও দক্ষ দাবি করে নগর আওয়ামী লীগের পরীক্ষিতদের হেয় করছে। এই কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার শুধু ঘৃণিতই নয়, ঔদ্বত্যপূর্ণ ও দুর্বৃত্তমূলক। তাদের এই কুমনোবৃত্তি শুধু নগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নয়, দল ও সরকারের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র।
গৃহীত প্রস্তাবে এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে কুমতলবীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঠিক করা হয়। একইসঙ্গে পতেঙ্গার লালদিয়ায় চরবাসীদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুনর্বাসনপূর্বক স্থানান্তরের জন্য সরকারের উচ্চ মহলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। সভায় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মাকসুদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন নেতারা। এছাড়া অপর এক সিদ্ধান্তে নগরীর ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সংগঠনকে গতিশীল করতে প্রতিটি জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বদিউল আলম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, জালাল উদ্দিন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, জহরলাল হাজারী, আবুল মনসুর, নুরুল আমিন, সৈয়দ আমিনুল হক, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, বিজয় কিষাণ চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোহাম্মদ জাবেদ, মো. ইলিয়াস, হাজী বেলাল আহমেদ, মোর্শেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।