চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে টেস্ট ক্রিকেটেও ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লোকাল বয় তামিম ইকবাল। কিন্তু সে আশা গুড়েবালি। দীর্ঘ এক বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরাটা মোটেও সুখকর হলোনা দেশের সেরা এই ব্যাটসম্যানের। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আরো বড় লজ্জা পেলেন তামিম। শুধু তাই নয় চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে লজ্জার এক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড এখন এই বাঁহাতি ওপেনারের দখলে। তবে এখনও এই রেকর্ডে তার সঙ্গী হিসেবে আছে মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এই রেকর্ডে নাম লেখান তামিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তামিম। তখনও রানের খাতা খোলা হয়নি তার। অবশ্য রিভিও নিয়েছিলেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ফিরতে হয়েছে সাজঘরে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই নিয়ে ৩৩ বারের মতো শূন্য রানে আউট হলেন তামিম। সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফিও সম সংখ্যকবার আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগে। তামিম ৩৯৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এই রেকর্ডের অংশ হয়েছেন। মাশরাফি খেলেছেন ২৬২টি ম্যাচ। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। আর সে টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে। সংগত কারণে চট্টগ্রামের ছেলে হিসেবে তামিমের উপর আস্তাটা বেশি ছিল। কিন্তু সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তামিম। প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন ৯ রান করে। তারপরও আশা ছিল অন্তত দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাড়াবেন তামিম। কিন্তু সেটাও হলোনা। এবার ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। অথচ ওয়ানডে সিরিজটা দারুন কেটেছিল তামিমের। কিন্তু টেস্টে এসে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেননা। দুই ইনিংসে ৯ রান করেছেন তামিম। যা তার নামের প্রতি মোটেও সুবিচার নয়। এটা ঠিক যে তামিম ভাল খেলা মানে বাংলাদেশের ইনিংস ফুলে ফেপে উঠা। যদিও চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথশ ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪৩০ রান। তবে তামিম বড় ইনিংস খেলতে পারলে সে রান আরো বড় হতে পারতো। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ তামিম। তারপরও তামিম ভক্তদের আশা অন্তত দ্বিতীয় টেস্টে স্বরূপে ফিরবেন তামিম। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সব ফরমেটেই সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। এরই মধ্যে তিন ফরমেটে ১৩ হাজারের বেশি রান করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তাই তামিমের ব্যাটের দিকে দল তাকিয়ে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে তামিম পারেননি প্রত্যাশা পুরণ করতে। ব্যর্থ হয়েছেন পুরোপুরি।