অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে রাঙামাটিতে এক ব্যক্তিকে ২৭ বছর ও অপর ব্যক্তিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটির জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলাধীন মুসলিম পাড়ার মো. ছিদ্দিক মিয়া পোদ্দারকে (৫০) ২৭ বছর ও কাপ্তাই চন্দ্রঘোনাস্থ নোয়াপাড়ার মংকাইনু মারমাকে (৩০) ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি মংকাইনু মারমা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন মারমা লিবারেশন পার্টির সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, সর্বমোট ৮ জন সাক্ষীর সরাসরি সাক্ষ্য প্রদানসহ সার্বিক তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে আদালত এই রায় দিয়েছেন। রাঙামাটি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে। এই রায়ের ফলে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলে আশা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির নানিয়ারচরের বগাছড়ি এলাকার একটি চায়ের দোকানে অস্ত্র কেনাবেচার সময় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ছিদ্দিক ও মংকাইনু।