এক দিনে আরও ১৪ জনের মৃত্যুর পর দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল পৌনে ছয় হাজার।
আজ শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। বিডিনিউজ
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৫৮৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৩ জন হলো।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৬১ জনে দাঁড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫৩৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ১২ হাজার ৬৫ জন হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ লাখ ৩৭ হাজারের ঘরে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে অষ্টাদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১১টি ল্যাবে ১৪ হাজার ১১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৮৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন, নারী ১ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্য এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। ১২ জন ঢাকা বিভাগের ও ২ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৭৬১ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৪৩৫ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩২৬ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ৯৮৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৫৩৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭১৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩১৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১২৯ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ২ হাজার ৯৬৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৫০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৬৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৬২ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২৪১ জন সিলেট বিভাগের, ২৬০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১১৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।