৫৪ দিন পর গ্রেপ্তার ঘাতক স্বামী

গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীর চান্দগাঁওয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী রোকসানাকে (৩০) মাথায় আঘাত ও ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে স্বামী মো. জাহাঙ্গীর (৪৫)। এরপর আত্মগোপনে চলে যায় সে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৫৩ দিন পর প্রযুক্তির সাহায্যে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকার জুরাইন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এ সময় ডিএমপির কদমতলী থানার পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই জাকির হোসেন। গ্রেপ্তারের পর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জাহাঙ্গীর। জাহাঙ্গীর ভোলা জেলার লালমোহন থানাধীন কুমারখালী গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। সূত্রে জানা গেছে, চান্দগাঁও থানাধীন উত্তর মোহরা এজাহার মামার মাজার সংলগ্ন মশিউদুল্লাহার ভাড়া ঘরে থাকতেন জাহাঙ্গীর রোকসানা দম্পতি। গত ১২ আগস্ট পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে খুন করে লাশ খাটের নীচে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী জাহাঙ্গীর। এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ভিকটিম রোকসানা নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন বগের বাজার বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত তোফাজ্জাল হোসেনের মেয়ে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের শিকার রোকসানার স্বামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকার কদমতলী থানাধীন জুরাইন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। জুরাইনের চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় থেকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হবে। প্রাথমিকভাবে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি সে স্বীকার করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর জানিয়েছে, প্রথমে স্ত্রী রোকসানাকে দেওয়ালের সাথে মাথায় সজোরে আঘাত করা হয়। আঘাতের কারণে রোকসানা বসে পড়লে শরীরের ওড়না দিয়ে তার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ফেলে পালিয়ে যায় সে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্ষণ মামলায় সেই দেলোয়ারের যাবজ্জীবন
পরবর্তী নিবন্ধমিন্টু-কালুর ফাঁসি কার্যকর