মোঃ সবুজ প্রকাশ আলাউদ্দিন (৩৫), পেশায় বিল্ডিং নির্মাণের কন্ট্রাক্টর হলেও সবার অজান্তে কাজ করতেন অপহরণ চক্রের সদস্য হিসাবে।
প্রথমে কোনো বিল্ডিং নির্মাণের কাজ নিতেন। পরে বিল্ডিংয়ের মালিকের সাথে সু-সম্পর্ক সৃষ্টি করে অপহরণের পর মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করত চক্রটি। টাকা না দিলে হুমকি দিত বাড়ির মালিককে মেরে ফেলার। এই চক্রের রয়েছে একাধিক সদস্য।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিত এলাকার মোঃ হাসান (৩৯) নামে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের মালিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে বিল্ডিং নির্মাণ কন্ট্রাক্টর নামধারী আলাউদ্দিন প্রকাশ সবুজসহ চার অহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১০ মে) থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়, গতকাল কুমিল্লা জেলার মনোহরগন্জ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় অপহরণের শিকার বিল্ডিং মালিক ভিকটিম মোঃ হাসানকেও উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত চক্রের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মোঃ লিটন (৩৭), রুবেল হোসেন বাদশা (২১) ও মোঃ আব্দুল রহমান বাদল প্রঃ হৃদয় (২০)।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মোঃ হাসান বায়েজিদ এলাকা একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন। উক্ত ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে এক দেড় বছর আগে থেকে। অভিযুক্ত আলাউদ্দিন প্রকাশ সবুজ ভবনটির নির্মাণ কন্ট্রাক্টর হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। সেই সুবাদে বিল্ডিং মালিকের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরী করে সবুজ।
সু-সম্পর্কের সুবাদে দাওয়াত করলে সরল বিশ্বাসে কন্ট্রাক্টর সবুজের বাড়িতে যান বিল্ডিং মালিক হাসান। পরে বিল্ডিং মালিক হাসানকে কন্ট্রাক্টর সবুজের বাড়িতে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিলে বিল্ডিয়ের মালিককে মেরে ফেলার হুমকি আসে মোবাইল ফোনে।
পরে বিষয়টি পুলিশকে জানা হলে, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিল্ডিং মালিক মোঃ হাসান উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত কন্ট্রাক্টরসহ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিককে উদ্ধার এবং অহরণ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।