মিন্টু-কালুর ফাঁসি কার্যকর

দুই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা

| মঙ্গলবার , ৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালুর (৫০) ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুইজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়।
আসামিদের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পছন্দের খাবারও খাওয়ানো হয়।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের দুইজনকে ধর্ষণ করা হয়।
এই পৈশাচিক ঘটনায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পর দিন আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দু্‌ই আসামি একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন থাকাকালে আসামি মহি মারা যায়। ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, কালু ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে বেকসুর খালাস দেন। গত ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও মিন্টু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়। ফলে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫৪ দিন পর গ্রেপ্তার ঘাতক স্বামী
পরবর্তী নিবন্ধমাছ আনতে গিয়ে লাশ দুই ভাই