৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের পার্কিং এলাকা থেকে নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের আহ্বান আইনজীবী সমিতির

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৪ জুলাই, ২০২২ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে আদালত এলাকায় পার্কিংয়ের জায়গা দখল করার কার্যক্রম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। গতকাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ঐতিহাসিক আদালতে ভবনের সামনের খালি জায়গায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখার পার্র্কিং নির্মাণ, ফুলের টব ও অপরিকল্পিত বাগান স্থাপন এবং চেইনসহ স্টোন কোণ ইত্যাদি স্থাপন করে উন্মুক্ত স্থানটি সংকুচিত করে ফেলেছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন সমিতির সাবেক সভাপতি রতন কুমার রায়ের মাধ্যমে বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাস্টিস ডিমান্ড নোটিশ পাঠান। কিন্তু এরপরও জেলা প্রশাসক ক্ষান্ত না হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গত ৬ মার্চ তারিখ নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয় এবং পুনরায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু সমপ্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, জেলা প্রশাসক সংস্কারকৃত পুরাতন আদালত ভবনের সম্মুখের রাস্তা বন্ধ করে ইট, বালি, কংক্রিট, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী এনে নির্মাণ কাজ করার পাঁয়তারা শুরু করেছেন। যা স্পষ্টত
আদালত অবমাননার শামিল।’ উক্ত নির্মাণ সামগ্রী আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে জেলা প্রশাসককে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি স্ব- উদ্যোগে তা অপসারণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, চট্টগ্রাম আদালত ভবন নিয়ে জেলা প্রশাসকের ন্যক্কারজনক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে সম্প্রতি তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের লোকজন নিয়ে শোডাউন করেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মিথ্যা’ সংবাদ প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি আদালত ভবন এলাকার অন্যতম অংশীজন হওয়া সত্বেও সমিতিকে না জানিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের তত্ত্বাবধানে যথাযথ গুণগত মান বজায় রেখে পাহাড়ের ঢালু রক্ষা করে অর্থাৎ পাহাড়ের আকৃতি, প্রকৃতি বিনষ্ট না করে ধাপে ধাপে ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়। ভবনগুলো একটির সাথে অন্যটি সংযুক্ত বিধায় দুই ভবনের মাঝের অংশটিকে ফাটল বলে জেলা প্রশাসক ‘মিথ্যাচার’ করে আসছেন। সমিতির ভবনসমূহ নিয়মিত প্রয়োজনীয় সংস্কার ও চুনকাম করা হয়। ভৌগলিকগত অবস্থানের কারণে সমিতির ভবনসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের জায়গা থেকে উঁচুতে অবস্থিত বিধায় বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি ও ড্রেনের পানি স্যুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্রেনে পতিত হয়। বৃষ্টি ও ড্রেনের পানি প্রবাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সম্প্রতি সমিতি ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের যৌথ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শাপলা ভবনের পাশে আরও একটি ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক ‘মিথ্যাচার’ করে ন্যাক্কারজনক ভাবে উক্ত কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করছেন। এ ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসামি না হয়েও সাড়ে ৪ মাস হাজতবাস
পরবর্তী নিবন্ধতিন ঘণ্টায় ১০ ট্রেনের সব টিকিট শেষ