তিন ঘণ্টায় ১০ ট্রেনের সব টিকিট শেষ

আজকের টিকিটের জন্য গত সন্ধ্যা থেকে স্টেশনে যাত্রীদের অবস্থান

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৪ জুলাই, ২০২২ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ঈদের অগ্রিম টিকিট দেওয়ার গতকাল তৃতীয় দিনে তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১০টি ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র সুবর্ণ এবং চাঁদপুর স্পেশাল-১ ছাড়া আর কোনো টিকিট কাউন্টারে ছিল না। যারা দেরি করে স্টেশনে গেছেন তাদের অনেকের ভাগ্যে টিকিট জুটেনি। প্রথম দুইদিনের চেয়ে গতকাল তৃতীয় দিনে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীর চাপ ছিল কয়েক গুণ বেশি। টিকিট পেতে কেউ কেউ ভোর রাত থেকে অপেক্ষা করেছেন। টিকিট কালোবাজারি রোধে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক, বিভাগীয় ব্যবস্থাপকসহ ঊর্ধ্বতনেরা স্টেশন পরিদর্শন করেছেন। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে ৭ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হয়। অনলাইনেও একই সময়ে টিকিট বিক্রি হয়। যাত্রীর চাপের কারণে সার্ভার ডাউন থাকায় অনলাইনে অনেকেই টিকিট কাটতে না পারার অভিযোগ করেছেন।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে জানান, আমরা কাউন্টারে এবং অনলাইনে ১২টি ট্রেনের টিকিট দিয়েছি আজকে (গতকাল রবিবার)। তার মধ্যে সুবর্ণ এবং চাঁদপুর স্পেশাল-১ ছাড়া অবশিষ্ট ১০টি ট্রেনের টিকিট ৩ ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। রবিবার যাত্রীদের মধ্যে ৭ জুলাইয়ের টিকিট দেয়া হয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় ছিল। আজ সোমবার দেয়া হবে ৮ জুলাইয়ের টিকিট। সোমবারের টিকিটের জন্য গতকাল রবিবার সন্ধ্যা থেকে স্টেশনে এসে যাত্রীদের ভিড় করতে দেখা গেছে।
তূর্ণা নিশিতা, সোনার বাংলা, পাহাড়িকা, উদয়ন, মেঘনা ও মেঘনা স্পেশাল-২ ও বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বেলা ১১টায় শেষ হয়ে যায়। যাত্রীর চাপ এত বেশি ছিল যে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করতে বুকিং সহকারীদের হিমশিম খেতে হয়েছে। জানা যায়, এই ৭ ট্রেনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজারের কাছাকাছি টিকিট রয়েছে। কাউন্টারে অর্ধেক ও অনলাইনে অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এবার ১ থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। বাতিল করা হয়েছে ট্রেন বন্ধের শিডিউলও। ঈদে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর স্পেশাল, একই রুটে চাঁদপুর স্পেশাল-২ চলাচল করবে।
চাঁদপুর স্পেশাল ১ ও ২ ঈদের তিন দিন আগে এবং ঈদের পরদিনসহ পাঁচ দিন চলাচল করবে। রেলসেবা অ্যাপ ও অনলাইন ই-টিকিট সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়। কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকিট কাটা যাবে। নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে। ঈদের অগ্রিম টিকিট কাটার পর তা আর ফেরত নেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। ঈদের পর ফিরতি টিকিট বিক্রির তারিখও নির্ধারণ করেছে রেল প্রশাসন। আগামী ৭ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হবে। ৭ জুলাই দেওয়া হবে ১১ জুলাইয়ের টিকিট, ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের এবং ১১ জুলাই টিকিট দেওয়া হবে ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের। টিকিট কেনার সময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদের ফটোকপি সঙ্গে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের পার্কিং এলাকা থেকে নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের আহ্বান আইনজীবী সমিতির
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচ বছরের পলাতক আসামি গ্রেপ্তার