২৬ কোটি টাকার হিসাব চেয়েছে হাই কোর্ট

গ্রামীণ টেলিকম

| বুধবার , ৩ আগস্ট, ২০২২ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা আদায়কারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউসুফ আলী ফি হিসেবে ১৬ কোটি টাকা পেয়েছেন বলে হাই কোর্টকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। এছাড়া শ্রমিকদের থেকে পাওয়া অন্যান্য খরচ বাবদ আরও ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে আদালতকে জানানো হয়। আদালতের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চে ইউসুফ আলীর দাখিল করা প্রতিবেদনে এই হিসাব দেওয়া হয়। তবে এই ১৬ কোটি টাকা ইউসুফ আলী আদৌ ফি হিসেবে পেয়েছেন কি না এবং অন্যান্য খরচ বাবদ আরও ১০ কোটি কে, কী বাবদ পেয়েছেন, বৃহস্পতিবার তা পরিষ্কারভাবে হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। খবর বিডিনিউজের।

আদালতে শ্রমিক-কর্মচারীদের আইনজীবী ইউসুফ আলীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম, সাঈদ আহমেদ রাজা, রবিউল আলম বুদু, অনীক আর হক। অন্যদিকে গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। পরে আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ইউসুফ আলী এবং অন্যান্য আইনজীবী যারা ছিলেন, তাদেরকে ১৬ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। আরও ১০ কোটি টাকা ট্রেড ইউনিয়নের একাউন্টে আছে। সুতরাং যে টাকা প্রদান করা হয়েছে, তা ফি বাবদই প্রদান করা হয়েছে।

আদালতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এবং ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, তারাও বলেছে, এটা শ্রমিকদের ফি বাবদ প্রদান করা হয়েছে। টেলিকমের কাছ থেকে অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী সাহেব কোনো টাকা গ্রহণ করেননি, তাদের অন্য কোনো অ্যাডভোকেটও গ্রহণ করেননি।
তবে ইউসুফ আলী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে যে অর্থ নিয়েছেন, এটি আদালত বিষয়বস্তু হিসেব দেখছে না বলে দাবি করেন আহসানুল করিম। তিনি বলেন, কোর্টের মুখ্য বিষয় ছিল এই যে ট্রানজেকশন এর স্বচ্ছতা কী, তা দেখার জন্য। ইউসুফ আলী সাহেব কত টাকা নিয়েছেন, এটা পরিষ্কার করেছেন, কোর্টের এটি বিষয়বস্তু না। কোর্ট শুধু দেখতে চেয়েছে, ট্রানজেকশন যেটি হয়েছে এর স্বচ্ছতা কী? এফিডেভিট যেটি ছিল, সেটি কোর্টের দৃষ্টিতে মনে হয়েছে এটি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কারভাবে উল্লিখিত হয়নি।

এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রেখেছে আদালত। সেদিন ইউসুফ আলীকে এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে আদালতকে জানাতে হবে।
আইনজীবী আহসানুল বলেন, সেই দিন এফিডেভিট আকারে ইউসুফ আলী সাহেবকে বলতে হবে যে, কত টাকা তিনি ফি হিসেবে পেয়েছেন, আদৌ তিনি ফি হিসেবে পেয়েছেন কি না, কত টাকা তিনি গ্রহণ করেছেন। বাদ বাকি টাকা, যেটি ২৬ কোটি টাকার মধ্যে ১০ কোটি টাকা অন্যান্য বাবদ খরচের কথা বলা হয়েছে, এই ১০ কোটি টাকা কে পেল, সেটি পরিষ্কারভাবে বলতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকারবালার চেতনায় নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে