যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইবো না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে-গো’- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পায়ের চিহ্ন না রইলেও তার রচনায় ভর করে খেয়াতরী বাওয়া ছাড়েননি কবি। আজ ২২শে শ্রাবণ। কবিগুরুর ৮১তম মহাপ্রয়াণ দিবস।
আজকের এই দিন বিশ্বব্যাপী রবী ভক্তদের কাছে একটি শূন্য দিন। রবীন্দ্রনাথ তার কাব্য সাহিত্যের বিশাল একটি অংশে যে পরমার্থের সন্ধান করেছিলেন সেই পরমার্থের সাথে তিনি লীন হয়েছিলেন এদিন। রবীন্দ্র কাব্যে মৃত্যু এসেছে বিভিন্নভাবে। জীবদ্দশায় মৃত্যুকে তিনি জয় করেছেন বারবার। কাব্য কবিতায় মৃত্যু বন্দনা করেছেন তিনি এভাবে- মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক জীবনে সাহিত্যের এমন বিচিত্র এক জগৎ রচনা করেছেন, যা বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্যের আসর করেছে মহিমান্বিত। বিপুল তার রচনা, বিচিত্র তার বিষয়। শুধু সৃজনশীল সাহিত্য রচনায় নয়, সমাজ, রাষ্ট্র, শিক্ষা, অর্থনীতি নিয়ে স্বকীয় ভাবনাও তাকে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উপলক্ষে দেশের নানা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলা একাডেমিও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।