১২০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক জীববিজ্ঞান উৎসব

তিন ক্যাটাগরিতে ১৭৭ জন বিজয়ী

চবি প্রতিনিধি | রবিবার , ২৪ মার্চ, ২০২৪ at ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

প্রাণের মেলা কাজাখস্তানে’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক জীববিজ্ঞান উৎসব২৪ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। জীববিজ্ঞান উৎসবটিতে চট্টগ্রামের ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার দুইশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। গতকাল শনিবার দুপুর ১টায় নগরের সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে উৎসবের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এর আগে সকাল নয়টা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ এবং আলোচনা সভা শেষে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে শিক্ষার্থীরা জীববিজ্ঞানের নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এরপর বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী পরিচালনা করেন ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী ও প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা।

আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক জীববিজ্ঞান উৎসব২৪ এর কোঅর্ডিনেটর মোরশেদুল ইসলাম রিফাত। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উৎসবের সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্‌ফোরকান, সাধারণ সম্পাদক ও চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. এ এম মাসুুদুল আজাদ চৌধুরী, সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর গণেশ চন্দ্র ত্রিপাঠি, মেরিন সিটি কলেজ এন্ড হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক্সের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. বাসনা রানী মুহুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের প্রাণরসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়েদা রুম্মান আক্তার সিদ্দিকী। আরও উপস্থিত ছিলেন চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহী হাসান চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় তিন ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১৭৭ জন বিজয়ী হয়েছে। সবাই ন্যাশনাল ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা করবে পরবর্তীতে। এসময় বিজয়ীদের টিশার্ট, লকেট, সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা। কলেজ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানা। প্রথম রানার আপ হয়েছে ৫ জন। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ১২ জন। সেকেন্ডারি স্কুল ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিন মাইশা। সমন্বিতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরও ১৪ জন। প্রথম রানার আপ হয়েছে ১৮ জন। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ৫১ জন। জুনিয়র ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আল হিদায়াহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী জুমাইনাহ গালিব নাওয়ার। সমন্বিতভাবে আরও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৯জন। প্রথম রানার আপ হয়েছে ২৯ জন। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ৩৬ জন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেরিন সিটি কলেজ এন্ড হাসপাতালের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. সুজাত পাল বলেন, মানব শরীরে অসংখ্য সেল রয়েছে। সেলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা প্রমাণ করেছে মানুষ কত অসহায়। সমপ্রতি দেখা গেছে যারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করবে; চাকরির বাজারে তারা ৪০% জায়গা দখল করবে। এই এআই এর সঙ্গে জীববিজ্ঞান জড়িত। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জীববিজ্ঞান। জীববিজ্ঞান পড়ে যে শুধু ডাক্তার হবে ব্যাপারটা এমন নয়; এক্ষেত্রে অনেক সুযোগ রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেউ দুর্নীতি করলে ছাড় দেব না
পরবর্তী নিবন্ধদৃষ্টির বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড