হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ

ড. মো. মোরশেদুল আলম | বুধবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

প্রখ্যাত লেখক, নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদএর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো স্বাধীন বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডটির স্বপ্নের দিগন্তকে স্পর্শ করতে প্রয়াস পেয়েছে তাঁর নিজস্ব ধারাতেই। চলচ্চিত্রশিল্পে তাঁর মৌলিক ভাবনা ও মেধাকে প্রয়োগ করে তিনি তৈরি করেছেন নিজস্ব স্টাইল। আগুনের পরশমণি (১৯৯৪) চলচ্চিত্রও এর ব্যতিক্রম নয়। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রঙিন কাহিনিচিত্র আগুনের পরশমণি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস আগুনের পরশমণি (১৯৯৪) অবলম্বনে নির্মিত। এটি বহুল পঠিত আগুনের পরশমণি উপন্যাসের চলচ্চিত্ররূপ। সত্যিকার অর্থে আগুনের পরশমণি ছবিটি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের হাতেগোনা কয়েকটি চলচ্চিত্রের একটি। এটি হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদানে নির্মিত। এটি তাঁর উপন্যাসের চলচ্চিত্ররূপ। একাত্তরের অবরুদ্ধ ঢাকা শহরের বাস্তব জীবনচিত্র এ চলচ্চিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্রের বিষয়, কাহিনি, চরিত্রনির্মাণ ও উপস্থাপন শৈলীতে সমকালীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের থেকে ভিন্নতর দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর চলচ্চিত্রের সৃজন, সংলাপ, অভিনয়ভঙ্গি বাঙালির জীবনের নাানবিধ অনুষঙ্গের আলোকে বিধৃত।

চিত্রগ্রহণ, শব্দসংযোজন ও সম্পাদনা এ তিনটি অনিবার্য করণীয় সম্পন্ন করার পর চলচ্চিত্র নির্মাতা স্বীয় বক্তব্যকে দর্শকের সম্মুখে উপস্থাপন করতে পারেন। এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন অবরুদ্ধ ঢাকা শহরের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সে সময়ের রাজনৈতিক পরিবেশ, সামাজিক সংকট, নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন টানাপোড়েন আলোচ্য চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু। বাঙালির জীবনের নানা সংকট এতে চিত্রিত হয়েছে। একদিকে বেঁচে থাকার নিরন্তর সংগ্রাম, অন্যদিকে স্বাধীনতা লাভের অদম্য ইচ্ছা আলোচ্য চলচ্চিত্রে চরিত্রগুলোর সামগ্রিক ভাবনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এমন একটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প পারিবারিক পরিবেশে উপস্থাপন করতে নির্মাতা সমর্থ হয়েছেন। একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিচ্ছবি হয়ে এ চলচ্চিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে।

ময়মনসিংহের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বদিউল আলম বদি বীর বিক্রমের জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে এটি রচিত। চলচ্চিত্রটি উৎসর্গ করা হয়েছে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহিদ সূর্যসন্তানদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। আগুনের পরশমণির বীজ প্রোথিত হয়েছিল তাঁর কিছুদিন আগের লেখা বহুব্রীহি নাটকটিতে। নাটকটির শেষ দুই পর্বের পুরো অংশ জুড়েই মুক্তিযুদ্ধের কথা। সোবহান সাহেবের (আবুল হায়াত) বাসায় গ্রাম থেকে আসা আশ্রিত বদলোক ইমদাদ খন্দকার মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের নিয়ে কটূক্তি করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পুরো পরিবার। মামা বুদ্ধি বের করেন। টেপ রেকর্ডারে ‘তুই রাজাকার’ রেকর্ড করে শোনানো হবে তিনটি টিয়া পাখিকে এবং সাত দিনের মধ্যে তারা শিখেও ফেলবে। দুটো পাখি মারা যায়, তৃতীয় টিয়া একসময় বলে ওঠে ‘তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’।

আগুনের পরশমণি গল্পের চরিত্রগুলো নাগরিক সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা একটি মুসলিম পরিবারের সদস্য। পরিবারটি তৎকালীন নাগরিক সমাজের অগ্রসরমান মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি। পরিবারের সদস্যরা প্রচলিত সংস্কৃতির ওপর শ্রদ্ধাশীল। চলমান জীবন, বিশ্বাস, শঙ্কা নিয়েই মুক্তদিনের কল্পনায় বিভোর। মুক্তিযুদ্ধকালে ঢাকা নগরীতে গেরিলা বাহিনীর প্রতিরোধযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দাতাদের সাহসী সহযোগিতা এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রের উপজীব্য। চলচ্চিত্রের কাহিনি বর্ণনা, ঘটনার প্রেক্ষাপট নির্বাচন এবং চরিত্রের মানসিক দ্বন্দ্বপীড়নসহ তাদের বাহ্যিক ও আঙ্গিক প্রকাশ বাস্তবানুগ। এ চলচ্চিত্রের বেশ কিছু দৃশ্যে পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ বাস্তবতাকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

যেমন: বদির বন্ধু রশিদুলের পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়া, তার ওপর অমানবিক নির্যাতন, মামাকে গুলি করে হত্যা, নিহতদের গণকবরে সমাহিত করা, মতিন সাহেব অফিস থেকে ফেরার পথে পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচার, দোকানদার কর্তৃক ইয়াহিয়া খানের ছবিতে থুতু মেরে ঘৃণা প্রকাশ এবং কুকুর আর মানুষের একসাথে পড়ে থাকার দৃশ্য প্রভৃতি। মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র হিসেবে আগুনের পরশমণি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুলে ধরেছে। সেটা বাঙালির গৌরবের ইতিহাস। ১৯৮৭ সালে রচিত উপন্যাস আগুনের পরশমণি থেকে চলচ্চিত্রের কাহিনি গঠনে, খুঁটিনাটি বিষয়ে অথবা বাস্তব ঐক্যতান পরিস্ফুটনে হুমায়ূন আহমেদ কৌশলী ছিলেন। তাঁর চলচ্চিত্রের প্রথম দৃশ্যে ধারাবর্ণনায় নগরের উত্তাপ অস্থিরতা, ভয়াবহতা, ভয়ার্ততা, মানসিক যন্ত্রণা এবং একটি পরিবারের গল্পে সব সুন্দরঅসুন্দরকেই সংক্ষেপ সময়ে বর্ণনা করতে চেয়েছেন। তবে তা লেখক সত্তায় নন; এক ধরনের ননভার্বাল সিগন্যালকে তুলে ধরার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।

উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্রে গল্প সাজাতে ধারাবর্ণনায় পরিচালক একটি চমৎকার প্রারম্ভসূত্র রচনা করেছেন। এটা যেন সব দর্শকশ্রেণীর মনোযোগ বিন্দু হিসেবে কাজ করেছে। চলচ্চিত্র সমালোচক ত্রিদিব ঘোষ এ চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পরিচালিত ছবি ‘আগুনের পরশমণি’। যদিও ছবি দেখে সে কথাটা একবারও মনে হয়নি। ছবির প্রথম দিকটা কিছুটা অসংলগ্ন এবং গতিহীন মনে হলেও সময়ের সঙ্গে মুগ্ধ হতে হয়েছে পরিণত দৃশ্য পরিকল্পনা ও ঘটনা প্রবাহে। বাইরের দৃশ্যের তুলনায় ঘরোয়া পরিবেশ অনেক বেশি সুপরিচালনার ছাপ রেখেছেন পরিচালক। অভিনয়কারী শিল্পী প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির জন্য মন কেড়েছেন। এ ছবিতে গানের ব্যবহার প্রশংসনীয়। বিশেষ করে পরিস্থিতি অনুযায়ী রবীন্দ্র সঙ্গীতের ব্যবহার ভালো লেগেছে। আগুনের পরশমণি একমাত্র মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র যেখানে রবীন্দ্রনাথের গানের শব্দগুচ্ছ শিরোনাম হয়। গানটি শোনা যায় একেবারে চলচ্চিত্রের শেষের দিকে। যখন স্বাধীনতার সূর্য পূর্ব আকাশে উঁকি দিচ্ছে তখন। আর নতুন সূর্য মানেই নতুন সূচনা, কালো রাত্রিকে পেছনে ফেলে ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা। যুদ্ধ ও মৃত্যুকে পেছনে ফেলে স্বাধীনতার সূর্যকে উদ্দেশ্য করেই যেন রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন: ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে।/এ জীবন পুণ্য করো দহনদানে/…ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্বপানে’। এ আগুন স্বাধীন সূর্যের আগুন, এ আগুন মুক্তি সংগ্রামে জয় পাওয়ার আগুন, হারানোর বেদনায় জ্বলতে থাকা শোকের আগুন। এ আগুন পরশপাথর যেন, যার পরশে প্রাণ ও মন ভরে উঠবে এক শুভশক্তিতে, নতুন উদ্যম জেগে উঠবে, নতুন করে শুরু করার স্পৃহাকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ। ফলে হারানোর ব্যথা ও বেদনা গাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন নয়, মুক্ত সূর্যের সঙ্গে মিশে আগামীর পথ দেখাবে, পথ চলতে সাহস জোগাবে।

চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ তাঁর ব্যক্তিগত দর্শনের কারণে সমগ্র চলচ্চিত্রে আনন্দ আর আতঙ্কের মুহূর্তে চিত্রায়ণ করেছেন হিউমার কিংবা হানাদার বাহিনীর নির্মমতার দৃশ্য; যা তাঁর পরিমিতিবোধ প্রকাশে সহায়ক। আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করে একজন চলচ্চিত্রকার হিসেবে সন্তুষ্টির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ‘…একটা চলচ্চিত্র বানানো শুধু একজনের কাজ না। এটি একটা টিম ওয়ার্কের মতো। যৌথভাবে সকলেরই সিনেমাটা বুঝতে হয়। ক্যামেরাম্যান, সঙ্গীত পরিচালক, শিল্প নির্দেশক এবং অভিনয় যারা করবেন তাদের সকলের দক্ষতা, কমিটমেন্ট এবং সততা এক হলে কেবল একটি ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব। আমার এই চলচ্চিত্রটা বানাতে গিয়ে কিছু দুঃখ এবং কষ্ট আছে। আমার ইচ্ছে দিয়ে পুরোপুরি কাজটি করতে পারি নাই।’ সর্বোপরি আগুনের পরশমণির মাঝে হুমায়ূন আহমেদ চলচ্চৈত্রিক নন্দনতত্ত্বের সংশ্লেষে চিরায়ত যে রসবোধের প্রতিফলন ঘটান, তা চলচ্চিত্রটির রসাস্বাদনে পরিপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আগুনের পরশমণির কাহিনি পরিক্রমা এবং এর মাঝে গ্রথিত সকল ভাবরস মূলত শুভময়তার দিকে ধাবমান।

এমনকি চলচ্চিত্রের পরিসমাপ্তি পর্বে মিড শটে দৃশ্যায়িত জীবনমৃত মুক্তিযোদ্ধা বদির বহু কষ্টে একটা হাত বাড়িয়ে ‘ভোরের পবিত্র আলো স্পর্শ করার আকুতির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ ‘আশাবাদ’এর বীজ বপন করে বাঙালির আকাঙ্ক্ষিত জয়বার্তার কথা ঘোষণা করেন। বলা যায়, আলো স্পর্শ করার মধ্য দিয়েই সেই মুক্তিযোদ্ধাকে স্বাধীনতার যে আগমনী বার্তা জানানো হলো, তা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কেই চিহ্নিত করে। নির্মাতা চলচ্চিত্রের সম্পূর্ণ গতিপ্রকৃতিকে পৌঁছে দেয় শুভময়তার দিকে। ফলে, দুই ঘণ্টা ব্যাপ্তির চলচ্চিত্রে কোনো উত্তপ্ত সংলাপ, হানাদার বাহিনীর নির্মমতার ভয়াবহতা, মুক্তিবাহিনীপাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মুখোমুখি যুদ্ধের প্রকটতার পরিবর্তে চলচ্চিত্রকারের ব্যক্তিগত বোধবিশ্বাসের প্রতিফলন অনন্য হয়ে ওঠে। আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রে বদিউল আলমের মৃত্যুর সিকোয়েন্সে ভোরের আলো, রক্তাক্ত সূর্যএসব উপাদানের সংযুক্তি ঘটিয়ে পরিচালক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন, ভিন্ন ব্যঞ্জনায় উপস্থাপন করেছেন সিকোয়েন্সটিকে। নির্মাতা দর্শকচেতনায় এ বোধ সঞ্চারিত করেছেন যে, বদিউল আলমের এ মৃত্যু গতানুগতিক কোনো মৃত্যু নয়। একটি স্বাধীন জাতির একজন সূর্যসন্তান দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করল; নাফেরার দেশে চলে গেল।

এ সকল মানুষের জন্যেই স্বাধীনতার লাল সূর্যকে আমরা লাভ করেছি। আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রের আঙ্গিক গড়ে ওঠেছে মুক্তিযুদ্ধের কঠিন স্বপ্ন ও বাস্তবতা এবং রোমান্টিকতার সংমিশ্রণে। চলচ্চিত্র সমালোচক সমীরণ দত্ত গুপ্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রেম আর যুদ্ধের একাকার হয়ে ওঠা ছায়াছবি ‘আগুনের পরশমণি’। বাংলাদেশের ছবি। আগুনের পরশমণি ছবিটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি, মানুষ, প্রেমবিরহ, স্বদেশ প্রেমের মেলবন্ধন। পরিমিতি বোধের দাবীদার ছবির দৃশ্যপট। স্বৈরাচারীর ছড়ানো যুদ্ধ বিভীষিকার বিস্তর উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছবিটিতে যা দর্শকদের আতংকিত করেছে।একটা বিশেষ সময়কে ধরে রাখলেও তা কালোত্তীর্ণ হয়ে উঠেছে মানবিক ঘাত প্রতিঘাতে, দৃশ্যায়নে।’ ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া কতগুলো গেরিলা অপারেশন নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে নারী নিপীড়নের অযাচ্যির উপস্থিতি নেই। আবার এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই এদেশে সাহিত্যনির্ভর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের সূচনা ঘটে।

লেখক: শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর দেশের প্রথম একাডেমিক জাদুঘর
পরবর্তী নিবন্ধচার মামলায় বিএনপির ১২১ নেতাকর্মী আসামি